শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:০২, বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মর্যাদায় অবদান

ড. মোঃ মিজানুর রহমান
অনলাইন ভার্সন
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মর্যাদায় অবদান

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন আধুনিক বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বা সংঘাতপূর্ণ রাষ্ট্রে শান্তি স্থাপন, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। জাতিসংঘের প্রথম শান্তি মিশনের সূত্রপাত হয় ১৯৪৮ সালে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি পর্যবেক্ষণ এবং সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা। এর পর ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকটের সময় জাতিসংঘ প্রথম “armed peacekeeping force” গঠন করে, যার নাম ছিল UN Emergency Force (UNEF)। এটি ছিল প্রথম সত্যিকারের সশস্ত্র শান্তিরক্ষী বাহিনী। এরপর রুয়ান্ডা, বসনিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, কঙ্গো প্রভৃতি দেশে শান্তিরক্ষী মিশন পাঠানো হয়। সময়ের সাথে সাথে মিশনের পরিধি ও কাঠামো আরো জটিল ও বিস্তৃত হয়, যাতে অন্তর্ভুক্ত হয় নির্বাচনী সহায়তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, যুদ্ধপরাধ তদন্ত, শিশু ও নারীর সুরক্ষা এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ।

বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে। এই অতি অল্প সময়েই একটি অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি লাভ করেছে। এই অংশগ্রহণ কেবল আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও মানবিক সহমর্মিতার প্রতিফলন নয়, বরং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সদস্যরা  বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন, যা বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, মানবিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সদস্য রাষ্ট্রর স্বেচ্ছায় শান্তিরক্ষী পাঠায় এবং জাতিসংঘ তাদের লজিস্টিক, প্রশিক্ষণ ও সামরিক সমন্বয় প্রদান করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৮ সালে মিশনের সূচনা থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ৩০ টি দেশে ৭২ টি শান্তি রক্ষা মিশন পরিচালনা করেছে। এই মিশনগুলোতে ১২৫ টি দেশের ২০ লাখ শান্তিরক্ষী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে নারী সদস্য ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। জাতিসংঘ ২০২৮ সালের মধ্যে সামরিক কন্টিনজেন্টে নারীর অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশ এবং পুলিশ ইউনিটে ২০ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই দীর্ঘ সময়কালে, ৪,৩০০- এর ও বেশি শান্তিরক্ষী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই প্রবন্ধ শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সৃষ্ট বহুমাত্রিক প্রভাব বিশ্লেষণ করেছে। 

বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকা এবং অর্থনৈতিক অবদান (১৯৮৮–২০২৫)

বাংলাদেশ এই মিশনে ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম ১৫ জন সেনা সদস্য ইরান-ইরাকে সামরিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপ (UNIIMOG)-এ পাঠানোর মধ্যে দিয়ে অংশগ্রহণ শ্ররু হয়। তারই ধারাবাহিকতা মে ২০২৫ পর্যন্ত মোট ১৯৪,৮৫৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ৩,০৩৮ জন নারী। শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সামরিক ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসনিক ও অন্যান্য মোট প্রায় ১,৮৫০ জন অংশগ্রহণ করে। এককথায়, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট, মেডিকেল ইউনিট, মিলিটারি অবজারভার ইত্যাদি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নারী শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এই সংখ্যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরে তৃতীয় সর্বাধিক। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের মধ্যে এযাবৎ ১৬৮ জন মিশনে শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে ২৬৬ জন।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ২০০০-০১ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৭,৯৪১ কোটি টাকা আয় করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট আয় আনুমানিক প্রায় ৩২,০০০ কোটি টাকা। জাতিসংঘ প্রতিটি শান্তিরক্ষী সদস্যের জন্য গড়ে মাসিক প্রায় ১,০০০ মার্কিন ডলার প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার এই অর্থের একটি অংশ সদস্যদের প্রদান করে, যা সদস্যের পদমর্যাদা ও জাতীয় বেতন কাঠামোর উপর নির্ভর করে। বাকি অর্থ সরকার তার কোষাগারে জমা রাখে। পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রে, জাতিসংঘ প্রদত্ত মোট অর্থের প্রায় ১০ শতাংশ সরকার পায়। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশি সেনা, পুলিশ এবং সিভিল সদস্যরা উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এর ফলে তারা আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি, অস্ত্র পরিচালনা, সামরিক যান ও সরঞ্জাম ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ মানোন্নয়ন যেমন UN-এর Military Observers Course ও Civil-Military Coordination (CIMIC) প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সদস্যদের দ্বারা দেশীয় প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় উন্নতি সাধিত হয়েছে (BIPSOT, 2022).

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বহু দেশের সঙ্গে সামরিক ও নিরাপত্তা-ভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, যা পরবর্তীতে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪২টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যার অনেকগুলোই পিস কিপিংয়ের সময়কার যৌথ কার্যক্রমের ফল (MFA, GoB)। পিস কিপিং মিশনে অংশগ্রহণকারীরা বহু-সাংস্কৃতিক পরিবেশে কাজ করার মাধ্যমে নেতৃত্ব, আন্তঃসংস্কৃতি বোঝাপড়া, সংঘর্ষ নিরসন এবং মানবিক সহানুভূতি শিখেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফিরে আসা ৭৮ শতাংশ সেনা সদস্য দেশের ভেতরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন (BIDS, 2021). 

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা তাদের কর্মদক্ষতার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হন। মে ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে ২৮ জন সেনা কর্মকর্তা উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন (AFD, Bangladesh, 2025)। বর্তমানে শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এক নম্বরে, যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে এবং এর ফলে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সামরিক ও অসামরিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সফলতা ও স্বীকৃতি

জাতিসংঘের বিভিন্ন মূল্যায়নে (২০২০-২০২৩) দেখা গেছে, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং মানবিক আচরণে অত্যন্ত প্রশংসিত। DR Congo, Mali, South Sudan–এর মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। বাংলাদেশ ২০১১ সালে প্রথম নারী পুলিশ ইউনিট পাঠায় হাইতিতে। বর্তমানে ২০০+ নারী শান্তিরক্ষী কাজ করছেন, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি। UN Women এর মতে, নারীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম।

বাংলাদেশ সেনা, পুলিশ ও চিকিৎসকসহ বহু-পেশাজীবী শান্তিরক্ষী পাঠায়। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের পিসকিপারদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল ইউনিট বেশি সক্রিয়। বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ট্রেনিং ও কল্যাণে ব্যয় করে। অন্যদিকে, বিদেশি মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা অভিজ্ঞতা, ভাষাজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন, যা দেশে ফিরে নেতৃত্বগুণে পরিণত হয়।

বাংলাদেশের সফল মিশনের সংখ্যা ৫৪ টির বেশি যা সমমর্যাদার ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। এ যাবত বাংলাদেশ সম্মাননা পেয়েছে ৩০০০ যা ভারতের ২২০০ টি এবং পাকিস্তানের ২০০০ টির চেয়ে বেশি। (UN DPKO, Bangladesh Armed Forces Division)। জাতিসংঘ মহাসচিব ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা একাধিকবার বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ২০২২ সালে DR Congo তে বাংলাদেশের নারী চিকিৎসক দলকে “Most Valuable Contingent” হিসেবে পুরস্কৃত করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও দ্রুত মোতায়েনযোগ্য বাহিনী হিসেবে বিবেচিত।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সদস্যদের সম্ভাবনা

বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫টি কন্টিনজেন্ট UNPCRS-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুটি র‍্যাপিডলি ডিপ্লয়েবল লেভেল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটি ভবিষ্যতে নতুন মিশনে দ্রুত মোতায়েনের সুযোগ সৃষ্টি করে। জাতিসংঘ ২০২৮ সালের মধ্যে মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশ এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ শান্তিরক্ষী নারী, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। 

এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দেশে মোতায়েনকালে ভাষাগত সমস্যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের উচিত শান্তিরক্ষীদের জন্য ভাষা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা। যদিও বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বৃহৎ অবদান রাখে, তবে জাতিসংঘের কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সীমিত। উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়োগের মাধ্যমে এই অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোকে আরও পরিবেশবান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছে, যা ভবিষ্যতে মিশনের টেকসইতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং শান্তিরক্ষীদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত করা যেতে পারে। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় 

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে প্রায় ১৬০ জন শহীদ হন বিভিন্ন দুর্ঘটনা, হামলা ও রোগে আক্রান্ত হয়ে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই সন্ত্রাসী হামলা বা IED বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন, বিশেষ করে কঙ্গো, মালি এবং দক্ষিণ সুদান মিশনে। আহতদের সংখ্যা এর চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি, যাঁদের অনেকে স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে দেশে ফেরেন।

যুদ্ধক্ষেত্র সদৃশ পরিবেশে কর্মরত থাকায় মানসিক চাপ, এবং ক্রনিক উদ্বেগের মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় যথাযথ অস্ত্র, যানবাহন বা সুরক্ষা গিয়ারের অভাব থাকায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন অঘোষিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বৈষম্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সাধারণত তখনই প্রেরণ করা হয় যখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) সদস্য রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে স্থায়ী পাঁচ সদস্য সম্মত হয়। এ কারণে রাজনৈতিক স্বার্থ, ভেটো ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভারসাম্য অনেক সময় একটি দেশের পিস মিশন পাওয়াকে নির্ধারণ করে। তবে বাস্তবতা বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়, যেমন কাশ্মীর, এটি একটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ এলাকা। UNSC একাধিকবার আলোচনায় আনলেও ভারতের বিরোধিতার কারণে পিস মিশন সম্ভব হয়নি। প্যালেস্টাইন দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব চলছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারবার ভেটো দেওয়ার কারণে এখানে জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ শান্তিরক্ষা মিশন স্থাপিত হয়নি। সিরিয়া ও ইয়েমেন এই দুটি দেশেই গৃহযুদ্ধ চলছে, কিন্তু সেখানে পিস মিশনের জন্য চীন ও রাশিয়ার ভেটোসহ ভিন্নমতের কারণে পূর্ণাঙ্গ মিশন অনুমোদন হয়নি।

যদিও জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় বিভাজন করে না বলে কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ ও ক্ষমতাধর দেশের ভেটো নীতি অনেক সময় মুসলিম দেশগুলোতে শান্তিরক্ষা মিশনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। যার ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর বহু জনগণ এই ঘটনাগুলোকে অঘোষিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বৈষম্য হিসেবে দেখে থাকেন।

সর্বশেষ, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ শুধু আর্থিক অর্জনের দিক থেকেই নয়, জাতীয় মর্যাদা ও গৌরবের ক্ষেত্রেও এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে। মিশন থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক আয় দেশে এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পাশাপাশি, পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার জন্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উচ্চ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ আজ শান্তি, ন্যায় ও সহমর্মিতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান দখল করেছে। অতএব, জাতিসংঘ পিস কিপিং মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য ও বৈদেশিক নীতির এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

লেখকঃ অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
মব কালচার উচ্ছেদে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন
মব কালচার উচ্ছেদে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান : প্রাপ্তি প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায়
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান : প্রাপ্তি প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায়
নির্বাচন : প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ ও বাস্তবতা
নির্বাচন : প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ ও বাস্তবতা
এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি
এলডিসি উত্তরণে চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তুতি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
অর্থনীতি গতিশীল রাখতে নির্বাচন জরুরি
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
ঐকতানে অনৈক্য : সেনাপ্রধানের বার্তা ভুলে গেছেন রাজনীতিকরা
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অমানুষের রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
অগণতান্ত্রিক অপশক্তির প্রধান টার্গেট তারেক রহমান
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত কঠিন
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
আমরা ২৫% পর্যন্ত অর্ডার হারাতে পারি
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
‘ইতিহাসসেরা সুন্দর নির্বাচন’ : স্বপ্ন ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
ভারতের বিহারে ভয়াবহ বজ্রপাত, ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু
ভারতের বিহারে ভয়াবহ বজ্রপাত, ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু

এই মাত্র | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার এখন রাগবি দলের অধিনায়ক
বিশ্বকাপ খেলা ক্রিকেটার এখন রাগবি দলের অধিনায়ক

৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গরমে শরীর সুস্থ রাখবে যেসব ফল
গরমে শরীর সুস্থ রাখবে যেসব ফল

৮ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে স্বাগত জানাল ভারত
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে স্বাগত জানাল ভারত

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

মেহেরপুর জেলা বিএনপির মৌন মিছিল
মেহেরপুর জেলা বিএনপির মৌন মিছিল

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ৬ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, অধরা রয়ে গেল চোরাকারবারিরা
সিলেটে ৬ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, অধরা রয়ে গেল চোরাকারবারিরা

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কুমিল্লায় প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কুমিল্লায় প্রতীকী ম্যারাথন

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা
ভিসায় তথ্য গোপন করলে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসে মেহেরপুরে প্রতীকী ম্যারাথন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দিবসে মেহেরপুরে প্রতীকী ম্যারাথন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

‘সিটিজেন কেইন’-এর ‘রোজবাড’ স্লেজ বিক্রি ১৫ মিলিয়ন ডলারে
‘সিটিজেন কেইন’-এর ‘রোজবাড’ স্লেজ বিক্রি ১৫ মিলিয়ন ডলারে

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম
শসার দামে সেঞ্চুরি, বেড়েছে সবজি ও মুরগি দাম

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৫৯৪ জন নিহত
দক্ষিণ সিরিয়ায় সংঘর্ষে ৫৯৪ জন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ
হামজা ও শমিতকে ছাড়াই নেপাল সফরে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অনলাইনে কেনাকাটায় আসক্ত নারী, পার্সেল রাখতেই কিনলেন আলাদা ফ্ল্যাট
অনলাইনে কেনাকাটায় আসক্ত নারী, পার্সেল রাখতেই কিনলেন আলাদা ফ্ল্যাট

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি: জাকারবার্গের চুপিসারে নিষ্পত্তি
ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি: জাকারবার্গের চুপিসারে নিষ্পত্তি

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

দক্ষিণ কোরিয়ার ১৫ স্বেচ্ছাসেবীকে সংবর্ধনা দিল চাষি বালিগাঁও সমাজকল্যাণ সংঘ
দক্ষিণ কোরিয়ার ১৫ স্বেচ্ছাসেবীকে সংবর্ধনা দিল চাষি বালিগাঁও সমাজকল্যাণ সংঘ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কুষ্টিয়ায় গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রতীকী ম্যারাথন
কুষ্টিয়ায় গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রতীকী ম্যারাথন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০
গোপালগঞ্জে ৭৫ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আসামি ৪০০

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে
কনসার্টে সিইও-র সাথে এইচআর প্রধানের ‘পরকীয়া’! ভাইরাল ভিডিও স্ত্রীর হাতে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমাদের খাবার পানিতে কি ভাগ বসাচ্ছে এআই?
আমাদের খাবার পানিতে কি ভাগ বসাচ্ছে এআই?

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

নরওয়ের বিস্ময়বালক নিপনকে নিয়ে নতুন যুগের পথে ম্যানচেস্টার সিটি
নরওয়ের বিস্ময়বালক নিপনকে নিয়ে নতুন যুগের পথে ম্যানচেস্টার সিটি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুন, পুড়লো ৩০ দোকান
নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে আগুন, পুড়লো ৩০ দোকান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী ম্যারাথন
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে নওগাঁয় প্রতীকী ম্যারাথন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জয়পুরহাটে গণঅভ্যুত্থান দিবসে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন
জয়পুরহাটে গণঅভ্যুত্থান দিবসে ৫ কিলোমিটার প্রতীকী ম্যারাথন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৪ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত
৪ জেলায় সন্ধ্যার মধ্যে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারি বৃষ্টিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ মৃত্যু, সরিয়ে নেওয়া হল ১৩০০ জনকে
ভারি বৃষ্টিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ মৃত্যু, সরিয়ে নেওয়া হল ১৩০০ জনকে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান
সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা ‘অগ্রহণযোগ্য’: এরদোয়ান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা
ড্রোন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে মাউন্ট এভারেস্টের আবর্জনা

৩ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১২ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ
গণঅভ্যুত্থানে হত্যাসহ ১২ মামলার চার্জশিট দিল পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বাধিক পঠিত
টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ পাঁচ উইকেটশিকারির তালিকায় মুস্তাফিজ
টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষ পাঁচ উইকেটশিকারির তালিকায় মুস্তাফিজ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অবশেষে বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ওবামা দম্পতি
অবশেষে বিচ্ছেদ গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ওবামা দম্পতি

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভিডিও গোপালগঞ্জের দাবি করে পোস্ট করলেন জয়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভিডিও গোপালগঞ্জের দাবি করে পোস্ট করলেন জয়

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন শারমিন আহমদ ও সোহেল তাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে
বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট মিলবে আজ, পাবেন যেভাবে

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

গোপালগঞ্জ ইস্যুতে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সহযোগিতার আহ্বান সেনাবাহিনীর
গোপালগঞ্জ ইস্যুতে গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে সহযোগিতার আহ্বান সেনাবাহিনীর

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুরের প্রতিপক্ষ গায়ানা
গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনালে রংপুরের প্রতিপক্ষ গায়ানা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কোককে বলেছি আখের চিনি ব্যবহার করতে: ট্রাম্প
কোককে বলেছি আখের চিনি ব্যবহার করতে: ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পশ্চিমা বিশ্বকে হামলার হুমকি মেদভেদেভের
এবার পশ্চিমা বিশ্বকে হামলার হুমকি মেদভেদেভের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্যামলীতে চাপাতির মুখে ছিনতাই: গ্রেফতার ৩
শ্যামলীতে চাপাতির মুখে ছিনতাই: গ্রেফতার ৩

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিরিয়ার জনগণ যুদ্ধকে ভয় পায় না, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি আল শারার
সিরিয়ার জনগণ যুদ্ধকে ভয় পায় না, ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি আল শারার

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাকিব খানের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে রহস্যময় উত্তর মিষ্টি জান্নাতের
শাকিব খানের সঙ্গে ‘সম্পর্ক’ নিয়ে রহস্যময় উত্তর মিষ্টি জান্নাতের

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয় গ্রহণে প্রস্তুত: ভূমি উপদেষ্টা
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভূমি মন্ত্রণালয় গ্রহণে প্রস্তুত: ভূমি উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ ও নৌকা ফিরিয়ে আনার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : রাশেদ প্রধান
আওয়ামী লীগ ও নৌকা ফিরিয়ে আনার জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : রাশেদ প্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফ্রান্সে ৪০ বছর কারাভোগের পর ফিলিস্তিনপন্থী যোদ্ধাকে মুক্তির নির্দেশ
ফ্রান্সে ৪০ বছর কারাভোগের পর ফিলিস্তিনপন্থী যোদ্ধাকে মুক্তির নির্দেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাঁচা মরিচ খেলে শরীর পায় একাধিক উপকার
কাঁচা মরিচ খেলে শরীর পায় একাধিক উপকার

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গোপালগঞ্জে কারফিউ অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আজ, পিএসসির তিন নির্দেশনা
৪৮তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা আজ, পিএসসির তিন নির্দেশনা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
পাকিস্তান সিরিজের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাতিরঝিলের বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সিতে চালু হচ্ছে র‌্যাপিড পাস
হাতিরঝিলের বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সিতে চালু হচ্ছে র‌্যাপিড পাস

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দড়িতে বাঁধা কুকুর’ আখ্যা খামেনির
ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘দড়িতে বাঁধা কুকুর’ আখ্যা খামেনির

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ : উত্তীর্ণদের জন্য নতুন নির্দেশনা
এক লাখ শিক্ষক নিয়োগ : উত্তীর্ণদের জন্য নতুন নির্দেশনা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে
রাশিয়া ইউক্রেনকে এক হাজার সেনার মরদেহ হস্তান্তর করেছে

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না : মীর হেলাল
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের দুঃসাহস দেখাবেন না : মীর হেলাল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাগরকন্যা সিঙ্গাপুরে বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা
সাগরকন্যা সিঙ্গাপুরে বাড়ছে মুসলমানদের সংখ্যা

১১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হলেন ১১০ এসআই
পদোন্নতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হলেন ১১০ এসআই

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধে যাওয়া ৪ ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
দুই সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধে যাওয়া ৪ ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ মাসুদের পদত্যাগ
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ মাসুদের পদত্যাগ

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুক্তরাষ্ট্রে চুরির অভিযোগে ভারতীয় নারী আটক, মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা
যুক্তরাষ্ট্রে চুরির অভিযোগে ভারতীয় নারী আটক, মার্কিন দূতাবাসের সতর্কতা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে গোপালগঞ্জে আতঙ্ক
থমথমে গোপালগঞ্জে আতঙ্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার আশ্রয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা
হাসিনার আশ্রয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে স্বাগত জানাল ভারত
বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে স্বাগত জানাল ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে ফের সংশয় উৎকণ্ঠা বিএনপির
নির্বাচন নিয়ে ফের সংশয় উৎকণ্ঠা বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীর বান্ধবী নীলা ছিলেন রূপগঞ্জের ‘ছায়ামন্ত্রী’
গাজীর বান্ধবী নীলা ছিলেন রূপগঞ্জের ‘ছায়ামন্ত্রী’

প্রথম পৃষ্ঠা

প্লাস্টিকের খেলনায় বড় ঝুঁকি শিশুদের
প্লাস্টিকের খেলনায় বড় ঝুঁকি শিশুদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইউরোপের শ্রমবাজারে পিছিয়ে বাংলাদেশ
ইউরোপের শ্রমবাজারে পিছিয়ে বাংলাদেশ

নগর জীবন

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঐতিহাসিক নীলকুঠি
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঐতিহাসিক নীলকুঠি

নগর জীবন

চেয়েছিলাম ডেমোক্র্যাসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্র্যাসি
চেয়েছিলাম ডেমোক্র্যাসি, হয়ে যাচ্ছে মবোক্র্যাসি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিনিয়র শিল্পীদের মূল্যায়ন আদৌ কি হচ্ছে?
সিনিয়র শিল্পীদের মূল্যায়ন আদৌ কি হচ্ছে?

শোবিজ

২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা
২২৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি ফাঁদে পা দেবে না
বিএনপি ফাঁদে পা দেবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

সুযোগ হারানো ঠিক হবে না
সুযোগ হারানো ঠিক হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক রহমানের প্রয়াণ দিবস আজ - আমাদের উত্তম কুমার
নায়ক রহমানের প্রয়াণ দিবস আজ - আমাদের উত্তম কুমার

শোবিজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তারেক রহমানের উত্থান

প্রথম পৃষ্ঠা

অবশেষে ধরা জুতা জামা খুলে নেওয়া সেই ছিনতাইকারীরা
অবশেষে ধরা জুতা জামা খুলে নেওয়া সেই ছিনতাইকারীরা

নগর জীবন

গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু
গোপালগঞ্জ-কাণ্ড এবং ইলেকশন ইস্যু

সম্পাদকীয়

ফেদেরারের প্রিয় কোর্টে এক দিন
ফেদেরারের প্রিয় কোর্টে এক দিন

মাঠে ময়দানে

আত্মরক্ষায় বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী
আত্মরক্ষায় বলপ্রয়োগে বাধ্য হয় সেনাবাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

সম্মিলিত উদ্যোগই গড়বে মানবিক সমাজ
সম্মিলিত উদ্যোগই গড়বে মানবিক সমাজ

নগর জীবন

নাটক ও চলচ্চিত্র প্রযোজনায় বিগ সিটি কমিউনিকেশনস
নাটক ও চলচ্চিত্র প্রযোজনায় বিগ সিটি কমিউনিকেশনস

শোবিজ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দীন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাজউদ্দীন পরিবারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

এতটা হবে সে তথ্য ছিল না
এতটা হবে সে তথ্য ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

হঠাৎ আলোচনায় কোচ শেন লি
হঠাৎ আলোচনায় কোচ শেন লি

মাঠে ময়দানে

প্রাপ্তি নগণ্য বললেও ভুল হবে
প্রাপ্তি নগণ্য বললেও ভুল হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

ধানমন্ডিতে চালককে পিটিয়ে নিয়ে গেল অটোরিকশা
ধানমন্ডিতে চালককে পিটিয়ে নিয়ে গেল অটোরিকশা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঘরে ঢুকে দুজনকে হত্যা
ঘরে ঢুকে দুজনকে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

তারিক সিদ্দিকের ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ
তারিক সিদ্দিকের ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহর পদত্যাগ
ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহর পদত্যাগ

নগর জীবন