শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:০২, বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মর্যাদায় অবদান

ড. মোঃ মিজানুর রহমান
অনলাইন ভার্সন
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনঃ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মর্যাদায় অবদান

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন আধুনিক বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বা সংঘাতপূর্ণ রাষ্ট্রে শান্তি স্থাপন, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। জাতিসংঘের প্রথম শান্তি মিশনের সূত্রপাত হয় ১৯৪৮ সালে, যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল। এই মিশনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবিরতির শর্তাবলি পর্যবেক্ষণ এবং সংঘর্ষে লিপ্ত পক্ষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা। এর পর ১৯৫৬ সালে সুয়েজ সংকটের সময় জাতিসংঘ প্রথম “armed peacekeeping force” গঠন করে, যার নাম ছিল UN Emergency Force (UNEF)। এটি ছিল প্রথম সত্যিকারের সশস্ত্র শান্তিরক্ষী বাহিনী। এরপর রুয়ান্ডা, বসনিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, কঙ্গো প্রভৃতি দেশে শান্তিরক্ষী মিশন পাঠানো হয়। সময়ের সাথে সাথে মিশনের পরিধি ও কাঠামো আরো জটিল ও বিস্তৃত হয়, যাতে অন্তর্ভুক্ত হয় নির্বাচনী সহায়তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, যুদ্ধপরাধ তদন্ত, শিশু ও নারীর সুরক্ষা এবং মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ।

বাংলাদেশ ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছে। এই অতি অল্প সময়েই একটি অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি লাভ করেছে। এই অংশগ্রহণ কেবল আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ও মানবিক সহমর্মিতার প্রতিফলন নয়, বরং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সদস্যরা  বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন, যা বাংলাদেশের রেমিটেন্স প্রবাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, মানবিক ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে। 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে সদস্য রাষ্ট্রর স্বেচ্ছায় শান্তিরক্ষী পাঠায় এবং জাতিসংঘ তাদের লজিস্টিক, প্রশিক্ষণ ও সামরিক সমন্বয় প্রদান করে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৮ সালে মিশনের সূচনা থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত মোট ৩০ টি দেশে ৭২ টি শান্তি রক্ষা মিশন পরিচালনা করেছে। এই মিশনগুলোতে ১২৫ টি দেশের ২০ লাখ শান্তিরক্ষী অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে নারী সদস্য ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। জাতিসংঘ ২০২৮ সালের মধ্যে সামরিক কন্টিনজেন্টে নারীর অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশ এবং পুলিশ ইউনিটে ২০ শতাংশ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই দীর্ঘ সময়কালে, ৪,৩০০- এর ও বেশি শান্তিরক্ষী তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই প্রবন্ধ শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সৃষ্ট বহুমাত্রিক প্রভাব বিশ্লেষণ করেছে। 

বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা মিশনে ভূমিকা এবং অর্থনৈতিক অবদান (১৯৮৮–২০২৫)

বাংলাদেশ এই মিশনে ১৯৮৮ সালে সর্বপ্রথম ১৫ জন সেনা সদস্য ইরান-ইরাকে সামরিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপ (UNIIMOG)-এ পাঠানোর মধ্যে দিয়ে অংশগ্রহণ শ্ররু হয়। তারই ধারাবাহিকতা মে ২০২৫ পর্যন্ত মোট ১৯৪,৮৫৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বিভিন্ন মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ৩,০৩৮ জন নারী। শান্তিরক্ষীদের মধ্যে সামরিক ছাড়াও বেসামরিক প্রশাসনিক ও অন্যান্য মোট প্রায় ১,৮৫০ জন অংশগ্রহণ করে। এককথায়, বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পদাতিক, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট, মেডিকেল ইউনিট, মিলিটারি অবজারভার ইত্যাদি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নারী শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবদান আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এই সংখ্যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরে তৃতীয় সর্বাধিক। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের মধ্যে এযাবৎ ১৬৮ জন মিশনে শহীদ হয়েছে এবং আহত হয়েছে ২৬৬ জন।

বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ২০০০-০১ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে মোট ২৭,৯৪১ কোটি টাকা আয় করেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত আয় করেছে প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে মোট আয় আনুমানিক প্রায় ৩২,০০০ কোটি টাকা। জাতিসংঘ প্রতিটি শান্তিরক্ষী সদস্যের জন্য গড়ে মাসিক প্রায় ১,০০০ মার্কিন ডলার প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার এই অর্থের একটি অংশ সদস্যদের প্রদান করে, যা সদস্যের পদমর্যাদা ও জাতীয় বেতন কাঠামোর উপর নির্ভর করে। বাকি অর্থ সরকার তার কোষাগারে জমা রাখে। পুলিশ বাহিনীর ক্ষেত্রে, জাতিসংঘ প্রদত্ত মোট অর্থের প্রায় ১০ শতাংশ সরকার পায়। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশি সেনা, পুলিশ এবং সিভিল সদস্যরা উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করার সুযোগ পান। এর ফলে তারা আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তি, অস্ত্র পরিচালনা, সামরিক যান ও সরঞ্জাম ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষণ মানোন্নয়ন যেমন UN-এর Military Observers Course ও Civil-Military Coordination (CIMIC) প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া সদস্যদের দ্বারা দেশীয় প্রশিক্ষণ ব্যবস্থায় উন্নতি সাধিত হয়েছে (BIPSOT, 2022).

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বহু দেশের সঙ্গে সামরিক ও নিরাপত্তা-ভিত্তিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, যা পরবর্তীতে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪২টি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করেছে, যার অনেকগুলোই পিস কিপিংয়ের সময়কার যৌথ কার্যক্রমের ফল (MFA, GoB)। পিস কিপিং মিশনে অংশগ্রহণকারীরা বহু-সাংস্কৃতিক পরিবেশে কাজ করার মাধ্যমে নেতৃত্ব, আন্তঃসংস্কৃতি বোঝাপড়া, সংঘর্ষ নিরসন এবং মানবিক সহানুভূতি শিখেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে ফিরে আসা ৭৮ শতাংশ সেনা সদস্য দেশের ভেতরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন (BIDS, 2021). 

বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা তাদের কর্মদক্ষতার জন্য জাতিসংঘের বিভিন্ন পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হন। মে ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে ২৮ জন সেনা কর্মকর্তা উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক দায়িত্বে নিযুক্ত হয়েছেন (AFD, Bangladesh, 2025)। বর্তমানে শান্তিরক্ষী সরবরাহকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এক নম্বরে, যা বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে এবং এর ফলে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে সামরিক ও অসামরিক খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সফলতা ও স্বীকৃতি

জাতিসংঘের বিভিন্ন মূল্যায়নে (২০২০-২০২৩) দেখা গেছে, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা শৃঙ্খলা, নৈতিকতা এবং মানবিক আচরণে অত্যন্ত প্রশংসিত। DR Congo, Mali, South Sudan–এর মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃত। বাংলাদেশ ২০১১ সালে প্রথম নারী পুলিশ ইউনিট পাঠায় হাইতিতে। বর্তমানে ২০০+ নারী শান্তিরক্ষী কাজ করছেন, যা বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি। UN Women এর মতে, নারীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম।

বাংলাদেশ সেনা, পুলিশ ও চিকিৎসকসহ বহু-পেশাজীবী শান্তিরক্ষী পাঠায়। ভারতের তুলনায় বাংলাদেশের পিসকিপারদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেল ইউনিট বেশি সক্রিয়। বাংলাদেশ মিশন থেকে প্রাপ্ত অর্থের একটি বড় অংশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ট্রেনিং ও কল্যাণে ব্যয় করে। অন্যদিকে, বিদেশি মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা অভিজ্ঞতা, ভাষাজ্ঞান ও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন, যা দেশে ফিরে নেতৃত্বগুণে পরিণত হয়।

বাংলাদেশের সফল মিশনের সংখ্যা ৫৪ টির বেশি যা সমমর্যাদার ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। এ যাবত বাংলাদেশ সম্মাননা পেয়েছে ৩০০০ যা ভারতের ২২০০ টি এবং পাকিস্তানের ২০০০ টির চেয়ে বেশি। (UN DPKO, Bangladesh Armed Forces Division)। জাতিসংঘ মহাসচিব ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা একাধিকবার বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ২০২২ সালে DR Congo তে বাংলাদেশের নারী চিকিৎসক দলকে “Most Valuable Contingent” হিসেবে পুরস্কৃত করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও দ্রুত মোতায়েনযোগ্য বাহিনী হিসেবে বিবেচিত।

শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সদস্যদের সম্ভাবনা

বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫টি কন্টিনজেন্ট UNPCRS-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে দুটি র‍্যাপিডলি ডিপ্লয়েবল লেভেল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটি ভবিষ্যতে নতুন মিশনে দ্রুত মোতায়েনের সুযোগ সৃষ্টি করে। জাতিসংঘ ২০২৮ সালের মধ্যে মিশনে নারী সদস্যদের অংশগ্রহণ ১৫ শতাংশ এ উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৭ দশমিক ৭ শতাংশ শান্তিরক্ষী নারী, যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। 

এই সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন দেশে মোতায়েনকালে ভাষাগত সমস্যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের উচিত শান্তিরক্ষীদের জন্য ভাষা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা। যদিও বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা মিশনে বৃহৎ অবদান রাখে, তবে জাতিসংঘের কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সীমিত। উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের নিয়োগের মাধ্যমে এই অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোকে আরও পরিবেশবান্ধব করার আহ্বান জানিয়েছে, যা ভবিষ্যতে মিশনের টেকসইতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং শান্তিরক্ষীদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যা ভবিষ্যতে আরও উন্নত করা যেতে পারে। শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করে। 

শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় 

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মধ্যে প্রায় ১৬০ জন শহীদ হন বিভিন্ন দুর্ঘটনা, হামলা ও রোগে আক্রান্ত হয়ে। নিহতদের মধ্যে অনেকেই সন্ত্রাসী হামলা বা IED বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন, বিশেষ করে কঙ্গো, মালি এবং দক্ষিণ সুদান মিশনে। আহতদের সংখ্যা এর চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি, যাঁদের অনেকে স্থায়ী শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে দেশে ফেরেন।

যুদ্ধক্ষেত্র সদৃশ পরিবেশে কর্মরত থাকায় মানসিক চাপ, এবং ক্রনিক উদ্বেগের মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় যথাযথ অস্ত্র, যানবাহন বা সুরক্ষা গিয়ারের অভাব থাকায় জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি বাড়ে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন অঘোষিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বৈষম্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সাধারণত তখনই প্রেরণ করা হয় যখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) সদস্য রাষ্ট্রগুলো, বিশেষ করে স্থায়ী পাঁচ সদস্য সম্মত হয়। এ কারণে রাজনৈতিক স্বার্থ, ভেটো ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভারসাম্য অনেক সময় একটি দেশের পিস মিশন পাওয়াকে নির্ধারণ করে। তবে বাস্তবতা বৈষম্যের ইঙ্গিত দেয়, যেমন কাশ্মীর, এটি একটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ এলাকা। UNSC একাধিকবার আলোচনায় আনলেও ভারতের বিরোধিতার কারণে পিস মিশন সম্ভব হয়নি। প্যালেস্টাইন দীর্ঘকাল ধরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব চলছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারবার ভেটো দেওয়ার কারণে এখানে জাতিসংঘের পূর্ণাঙ্গ শান্তিরক্ষা মিশন স্থাপিত হয়নি। সিরিয়া ও ইয়েমেন এই দুটি দেশেই গৃহযুদ্ধ চলছে, কিন্তু সেখানে পিস মিশনের জন্য চীন ও রাশিয়ার ভেটোসহ ভিন্নমতের কারণে পূর্ণাঙ্গ মিশন অনুমোদন হয়নি।

যদিও জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মীয় বিভাজন করে না বলে কিন্তু রাজনৈতিক স্বার্থ ও ক্ষমতাধর দেশের ভেটো নীতি অনেক সময় মুসলিম দেশগুলোতে শান্তিরক্ষা মিশনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। যার ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর বহু জনগণ এই ঘটনাগুলোকে অঘোষিত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বৈষম্য হিসেবে দেখে থাকেন।

সর্বশেষ, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ শুধু আর্থিক অর্জনের দিক থেকেই নয়, জাতীয় মর্যাদা ও গৌরবের ক্ষেত্রেও এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে। মিশন থেকে প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক আয় দেশে এসেছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পাশাপাশি, পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও মানবিকতার জন্য বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উচ্চ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ আজ শান্তি, ন্যায় ও সহমর্মিতার প্রতীক হিসেবে বিশ্বমঞ্চে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান দখল করেছে। অতএব, জাতিসংঘ পিস কিপিং মিশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য ও বৈদেশিক নীতির এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত।

লেখকঃ অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন মালয়েশিয়া সফর ও শ্রমবাজার নিয়ে আশাবাদ
প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন মালয়েশিয়া সফর ও শ্রমবাজার নিয়ে আশাবাদ
বাণিজ্যচুক্তি : ভিয়েতনাম পারলে আমরা নয় কেন
বাণিজ্যচুক্তি : ভিয়েতনাম পারলে আমরা নয় কেন
রাজনীতিতে জনসমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর
রাজনীতিতে জনসমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর
এ দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের শেষ কোথায়
এ দুর্যোগ ও দুর্বিপাকের শেষ কোথায়
সুখের সন্ধানে বাংলাদেশের ৫৪ বছর
সুখের সন্ধানে বাংলাদেশের ৫৪ বছর
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমষ্টিগত মুক্তির স্বপ্ন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমষ্টিগত মুক্তির স্বপ্ন
ক্ষমতার পালাবদলে ব্যবস্থা আরো মর্মস্পর্শী
ক্ষমতার পালাবদলে ব্যবস্থা আরো মর্মস্পর্শী
বিএনপির পথ আটকানোর পাঁয়তারা কেন
বিএনপির পথ আটকানোর পাঁয়তারা কেন
গুজবে সেনাবাহিনীর ইমেজ ক্ষুণ্ন করে লাভ কার
গুজবে সেনাবাহিনীর ইমেজ ক্ষুণ্ন করে লাভ কার
বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবাকে শিল্প হিসেবে দেখা হোক
বেসরকারি নিরাপত্তা পরিষেবাকে শিল্প হিসেবে দেখা হোক
ব্যাংকিং খাতের মূলধন ঘাটতি এবং ব্যাসেল-তিন
ব্যাংকিং খাতের মূলধন ঘাটতি এবং ব্যাসেল-তিন
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন
শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন
সর্বশেষ খবর
কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি ফের বাড়ছে, তিস্তা বিপৎসীমার কাছে
কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি ফের বাড়ছে, তিস্তা বিপৎসীমার কাছে

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজীপুরে দিনে-দুপুরে পৌনে ৯ লাখ টাকা ছিনতাই
গাজীপুরে দিনে-দুপুরে পৌনে ৯ লাখ টাকা ছিনতাই

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালমানের সঙ্গে দেখা করতে তিন শিশু ভক্তের অবাক কাণ্ড
সালমানের সঙ্গে দেখা করতে তিন শিশু ভক্তের অবাক কাণ্ড

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দুর্বৃত্তের বিষে মরলো পুকুরের ২০ লাখ টাকার মাছ
দুর্বৃত্তের বিষে মরলো পুকুরের ২০ লাখ টাকার মাছ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩১ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় পানি সংকট নিরসনে পাইপলাইন স্থাপন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত
গাজায় পানি সংকট নিরসনে পাইপলাইন স্থাপন করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত
জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেষ টেস্টে ছিটকে গেলেন স্টোকস
শেষ টেস্টে ছিটকে গেলেন স্টোকস

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৬ বছরের কম বয়সীদের ইউটিউব ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সীদের ইউটিউব ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেটার এআই টুল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতালি
মেটার এআই টুল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইতালি

৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত
ট্রাম্পের শুল্কারোপ-জরিমানা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যা বলল ভারত

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে : মেয়র শাহাদাত
জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা-খাল-সড়ক সংস্কার কার্যক্রম চলমান থাকবে : মেয়র শাহাদাত

৭ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জয়পুরহাটে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
জয়পুরহাটে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পঞ্চগড়ে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান
পঞ্চগড়ে বৃক্ষমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিএমপির তিন ওসির রদবদল
সিএমপির তিন ওসির রদবদল

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা
ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার হুমকি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতর্কতা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ফরিদপুরে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি
ফরিদপুরে পলাতক ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাউবিতে দল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মস্থলে বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা
শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
বাউবিতে দল ব্যবস্থাপনা এবং কর্মস্থলে বিরোধ নিষ্পত্তির কার্যকারিতা শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের তৎপরতা
নারায়ণগঞ্জের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জেলা প্রশাসনের তৎপরতা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন
ধোঁকা দেয়ার চিন্তা মনে হয় না কোনো দলের আছে : সালাহউদ্দিন

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আটক
বিরল সীমান্তে ২ বাংলাদেশি আটক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদক পাচারের চেষ্টাকালে আটক ৩
মাদক পাচারের চেষ্টাকালে আটক ৩

৮ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার
কলাপাড়ায় যুবকের লাশ উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাঘ মহড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
মোংলায় বাঘ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বাঘ মহড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
রাজাপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল
এমন অবস্থা তৈরি করবেন না যাতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ফেরার সুযোগ পায় : ফখরুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন ওয়ারেন্ট চায় প্রসিকিউশন

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
৫ আগস্ট দুপুরে বুঝতে পারি, হাসিনার পতন হবে: জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন
৫ আগস্ট দুপুরে বুঝতে পারি, হাসিনার পতন হবে: জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডিবি হারুনকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আইজিপির জবানবন্দি
ডিবি হারুনকে ‘জ্বীন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : আইজিপির জবানবন্দি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী
হাসিনাকে রাতের ভোটের আইডিয়া দেন জাবেদ পাটোয়ারী

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি জানতাম: জবানবন্দিতে মামুন
ব্যারিস্টার আরমানকে টিএফআই সেলে রাখার বিষয়টি জানতাম: জবানবন্দিতে মামুন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘এক্সিট পলিসি’ চিন্তা করার সময় এসেছে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার
১০২ এসিল্যান্ডকে প্রত্যাহার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস
বিএনপি-ছাত্রদলকে এনসিপির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর
রিয়াদের বাসায় ২ কোটি টাকার চেক এফডিআর

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু
অতিরিক্ত সিম বন্ধ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, ১ আগস্ট থেকে প্রক্রিয়া শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে
পরিবর্তন আসছে ৩৯ সংসদীয় আসনে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক
মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন মোবারক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ
রিয়াদের মায়ের দাবি সঠিক নয়, তাদেরকে অর্থ দেয়নি আস–সুন্নাহ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি
কনস্টেবলের স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব, বরখাস্ত এএসপি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুদকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ
দুদকে সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদিকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত
রাশিয়ায় ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল
এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করলো ছাত্রদল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান ফ্রান্সসহ ১৫ দেশের

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই থেকে সব বাণিজ্যিক জাহাজ সরানোর নির্দেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল
আমিরাতের ক্ষোভে রাষ্ট্রদূতকে ফেরত নিচ্ছে ইসরায়েল

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের
‘রিয়াদের বাসার এফডিআরগুলো গেল কই’, প্রশ্ন জাওয়াদ নির্ঝরের

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি
সেই রিয়াদের বাসা থেকে সোয়া ২ কোটি টাকার চেক উদ্ধার : ডিএমপি

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত
রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পর জাপানে সুনামির আঘাত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় বিপদের আশঙ্কায় সরানো হলো ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের
বড় বিপদের আশঙ্কায় সরানো হলো ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মীদের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত এগারো মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক
গত এগারো মাসে কে কি করেছে তা প্রকাশ করুন: জয়নুল আবদিন ফারুক

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যেভাবে একদিনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন মেক্সিকান ধনকুবের!
যেভাবে একদিনে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার খোয়ালেন মেক্সিকান ধনকুবের!

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ বৃহস্পতিবার
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ বৃহস্পতিবার

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
মুরাদনগর রণক্ষেত্র
মুরাদনগর রণক্ষেত্র

প্রথম পৃষ্ঠা

শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কি হবে

সম্পাদকীয়

ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ
ঐক্য অনৈক্যের জুলাই সনদ

প্রথম পৃষ্ঠা

মাফিয়া আমলার সাতকাহন
মাফিয়া আমলার সাতকাহন

প্রথম পৃষ্ঠা

অন্তর্বর্তী সরকারের যাওয়ার সময় এসেছে
অন্তর্বর্তী সরকারের যাওয়ার সময় এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

চালবাজি বন্ধে কঠোর সরকার
চালবাজি বন্ধে কঠোর সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছে মানুষ
ঘরে ঘরে জ্বরে ভুগছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাফুফের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন
বাফুফের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

কোটি টাকার সড়কের রেলিং যেন গরু বাঁধার খুঁটি!
কোটি টাকার সড়কের রেলিং যেন গরু বাঁধার খুঁটি!

রকমারি নগর পরিক্রমা

পদ্মায় ধরা পড়ল এক মণ ওজনের ডলফিন
পদ্মায় ধরা পড়ল এক মণ ওজনের ডলফিন

পেছনের পৃষ্ঠা

অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন আর নেই
অনুসন্ধানী সাংবাদিক সাইদুর রহমান রিমন আর নেই

নগর জীবন

বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে
সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

লালমনিরহাটে হাজারো পরিবার পানিবন্দি
লালমনিরহাটে হাজারো পরিবার পানিবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

পেশাদার চাঁদাবাজ সমন্বয়ক রিয়াদ
পেশাদার চাঁদাবাজ সমন্বয়ক রিয়াদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ছে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার
বাড়ছে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের ব্যবহার

পেছনের পৃষ্ঠা

ট্রাম্পশুল্কে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ
ট্রাম্পশুল্কে সবুজ সংকেত পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির ডামাডোলে নীরবে বাড়ছে ডেঙ্গু
রাজনীতির ডামাডোলে নীরবে বাড়ছে ডেঙ্গু

রকমারি নগর পরিক্রমা

৩৯ আসনে সীমানা পরিবর্তন
৩৯ আসনে সীমানা পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

কেমন আছেন মিথিলা
কেমন আছেন মিথিলা

শোবিজ

বাংলাদেশ-মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ ‘টাইগার লাইটনিং’ সম্পন্ন
বাংলাদেশ-মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ ‘টাইগার লাইটনিং’ সম্পন্ন

খবর

ইউরোপে অবৈধ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ইউরোপে অবৈধ প্রবেশে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস

পেছনের পৃষ্ঠা

গোলাম আকবরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি
গোলাম আকবরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি

নগর জীবন

দেশে সোনার রিজার্ভ ২ হাজার ৬১১ কেজি
দেশে সোনার রিজার্ভ ২ হাজার ৬১১ কেজি

পেছনের পৃষ্ঠা

জাগপার শফিউল আলম প্রধানের বোন আর নেই
জাগপার শফিউল আলম প্রধানের বোন আর নেই

খবর

রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা
রসুল (সা.)-এর সাহাবির সংজ্ঞা

সম্পাদকীয়

কাকে খুঁজছেন তমা
কাকে খুঁজছেন তমা

শোবিজ