প্রিয় নবীর কার্টুন আঁকা নিয়ে গুটিকতক দুর্বৃত্তের পৈশাচিকতার দায় গোটা মুসলিম জাহানের ওপর চাপানোর অপচেষ্টার প্রতিবাদ করলেন মার্কিন ইসলামিক চিন্তাবিদরা। একইসাথে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী মুসলিম প্রজন্মকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয় অযথা মুসলমানদের ঢালাওভাবে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শত শত প্রবাসী জড়ো হয়েছিলেন ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সমিতির সমাবেশে। এ সমাবেশের বক্তব্যকালে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাসান বলেন, প্যারিসের বিখ্যাত কার্টুন ম্যাগাজিন অফিসে ঢুকে যারা নির্বিচারে সাংবাদিকদের হত্যা করেছে তারা যেমন সত্যিকার অর্থে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত নয়, ঠিক একইভাবে মহানবী (স.)-কে নিয়ে যারা কার্টুন এঁকেছে তারাও মানবতায় বিশ্বাসী নন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কার্টুন এঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব এবং বিশ্ব মানবতার মুক্তির মহানায়ক হযরত মুহম্মদ (স.)-কেও মুসলমানদের হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
ব্রুকলিনে বাংলাদেশি অধ্যুষিত চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এলাকায় পাবলিক স্কুল-১৭৯ এর মিলনায়তনের এ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুরের ইসলামিক রিসোর্স সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. সাইয়িদ এরশাদ আহমেদ এবং মিলাদুন্নবী (স.)-এর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের অধ্যাপক মাওলানা শেখ মাহমুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ আহমেদ বলেছেন, প্রিয়নবীর সমালোচনা করে সারাবিশ্বের শান্তি ও স্থিতি হুমকির মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। যারা কার্টুন আঁকেন তারা আসলে কোন ধর্মেই বিশ্বাসী নন। ধর্মব্শ্বিাসী হলে অযথা অন্য ধর্মের একজন নেতার অপমাননাকর কার্টুন তারা ছাপতে পারতেন না।
চট্টগ্রাম সমিতির এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এটর্নি মঈন চৌধুরী, সমিতির সভাপতি আকবর আলী এবং সেক্রেটারি আবু তাহের। সমবেত সকলের জন্যে চট্টগ্রামের ঐত্যিবাহি ‘মেজবান’ পরিবেশনে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম সমিতির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা