মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ আমিরাতস্থ শাখা সমূহের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উদযাপন উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রবিবার দুবাইস্থ সুদানি ক্লাব সংলগ্ন ময়দানে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিলে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সমাগম হয়েছে। উল্লেখ্য যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এর ইতিহাসে এটি সর্ববৃহৎ ইসলামিক জমায়েত।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ আমিরাতস্থ সাংগঠনিক তদারক পরিষদের আহ্বায়ক আলহাজ্ব নূর মুহাম্মদ সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আমিরাতে সফররত চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল হযরতুলহাজ্ব শাহছুফি অধ্যক্ষ আল্লামা ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ্ আহমদী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব।
মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান সাজ্জাদ ও মুহাম্মদ আল মামুনের পরিচালনায় মাহফিলে কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পবিত্র নাতে মোস্তাফা (দ.) পেশ করেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খলিফায়ে রাসুল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এর শানে ক্বছিদা শরীফ পেশ করেন যথাক্রমে মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল কাদের ও মুহাম্মদ হাবীব।
বক্তব্য রাখেন আমিরাত এশায়াত উপ-পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব মাওলানা শফিউল আলম ও শারজাহ শাখার সচিব আলহাজ্ব মাওলানা মাহবুবুল আলম বোগদাদী। প্রধান অতিথিকে এক নজর দেখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী ও আমিরাতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের মুসলিমেরা মাহফিল প্রাঙ্গনে সমবেত হলে মাহফিল স্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের গাউছুল আজমের তরিক্বত হচ্ছে প্রতিদিন ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদযাপনের সোনালী শ্বাস্বত ব্যবস্থাপনা।একথা উল্যেখ করে উপস্থিত হাজার হাজার মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে প্রধান মেহমান বলেন, আজ সারা বিশ্বে মুসলমানদের হাহাকার আর্তনাদ। মনগড়া মতবাদ এর কবলে মুসলিম জাতি দিশেহারা। বিভিন্ন দেশে মুসলমানরা কলংকের বোঝা কাধে নিয়ে এদিক ঐদিক ছুটাছুটি করছে। তার একমাত্র কারণ হলো নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (দ.) এর রেখে যাওয়া আদর্শ থেকে বিচ্যুতি এবং তার দেখানো পথ থেকে দুরে সরে যাওয়া। সুতরাং মুসলিম বিশ্বের মুক্তির একমাত্র পথ নবীজির অনুসরণ-অনুকরণ। আর এপথে ধাবিত করার জন্য প্রয়োজন একজন যোগ্য অভিভাবক। যার জীবন হবে নবীজির রঙে রঙিত, যার অন্তর হবে নবী প্রেমে ভরপুর, যার সীনায় থাকবে কোরআনের জ্যোতি। আর যিনি হবেন রুহানীবলে বলীয়ান। এমন একজন যোগ্য অবিভাবকের সন্ধান নেওয়ার জন্য তিনি মুসলিম বিশ্বকে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ খলিফায়ে রাসুল, হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী ছাহেব এর সান্নিধ্যে এসে আধ্যাত্মিক সুধা পান করার আহবান জানান। তাহলেই মুসলিম বিশ্ব ফিরে পাবে তাদের হারানো ঐতিহ্য।
মাহফিলে আমিরাতের প্রতিটি প্রদেশ থেকে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ আমিরাতের স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ এবং মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ-কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জানুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা