উগান্ডায় বাংলাদেশি এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাকির হোসেন নামের ওই যুবক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আটিয়াতলী গ্রামের বাসিন্দা। দালাল শরীফ হোসেন ও তার (শরীফ) ভাই দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে জাকিরের বড় ভাই শামছুউদ্দিন লাশ ফিরে পেতে বাংলাদেশ সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ছাড়া হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দালাল শরীফ ও অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শামছুদ্দিন বলেন, জমি-জমা বিক্রি করে ও সুদের ওপর চার লাখ টাকা নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ছোট ভাইকে একই উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে আদম ব্যাপারী (দালাল) শরীফ হোসেনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। কিন্তু দালাল শরীফ ও তার লোকজন দক্ষিণ আফ্রিকায় না নিয়ে জাকিরকে ১৪ নভেম্বর সকালে দুবাই হয়ে উগান্ডায় নেয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় না নিয়ে উগান্ডায় কেন নেওয়া হল এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো হলে পরে দক্ষিণ আফ্রিকায় নেওয়া হবে।’ এভাবে কেটে যায় জাকিরের দেড় মাস। জাকির তার চাকরির কথা বললে শরীফ হোসেনের লোকজন তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এসব নিয়ে শরীফ ও দেলোয়ারসহ অন্যান্যদের সঙ্গে প্রায়্ কথা কাটাকাটি হতো। এরই জের ধরে ৯ জানুয়ারি সকালে জাকির হোসেনকে বেদম মারধর করা হয়। এতে জাকির হোসেন গুরুতর আহত হলে রাজধানীর অদূরে ফেইস নামের একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। গত ১০ জানুয়ারি রাতে দেলোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে (২৫৬৭৫৯৫১২৭৪২) জানায়, জাকির হোসেন অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে কামপালার ফেইস হাসপাতাল মর্গে লাশ পড়ে আছে। লাশ বাড়িতে নিতে আট লাখ টাকা পাঠানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এদিকে, ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে বৃদ্ধা মা শামছুন নাহার বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। এলাকা ও পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বিডি-প্রতিদিন/ ২০ জানুয়ারি,২০১৫/ রোকেয়া।