এ কে আজাদ লালন সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জের গান পাগল এক গীতিকবির নাম। কথায় আছে শোক-বিরহ কিছু কিছু মানুষকে কবিত্ব দান করে। তেমনিভাবে আজাদ লালনও মা হারানোর বেদনা বুকে ধরে শুরু করেন গান, কবিতা লিখার চর্চা। তার ভাষ্যমতে, 'মা মারা যাবার পর বুকের ভেতর ব্যথাগুলো জমাট বাঁধে, চার দিন পর থেকে শুরু করি গান লিখা।' এ পর্যন্ত ফোক, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক মিলে লিখেছেন প্রায় ৬৬টি গান। যেখান থেকে ৩টি গান ইতিমধ্যেই ফোক শিল্পী ফকির শাহবুদ্দিন ও ক্লোজআপ তারকা বিউটির কণ্ঠে প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে। গান গুলোর মধ্যে 'আমি তোমায় ডাকি বারে বার ও দয়ালরে, দাসী জেনে দেখা দাও আমারে ' এ গানটি বাংলালিংক ও গ্রামীণফোন ওয়েলকাম টিউনের জন্য মনোনীত করেছে। এছাড়া অন্য দুটি হচ্ছে 'ফাল্গুনও বসন্তে আমার রঙ ধরেছে গায়ে ' ও 'ওইদিন গেলোরে, গনায় দিন গেলো বিফলে '।
১৯৬১ সালে সিলেটে জন্ম নেয়া আজাদ লালন ছোটবেলা থেকে সংগীত ও খেলাধুলায় নিজেকে সপে দিলেও আশির দশকে পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৯৮২ সালে রাবার কন্ট্রোলার হিসেবে যোগ দেন আমিরাতে নৌবাহিনীতে। এরপর ১৯৮৩ সাল থেকে শুরু করেন নিজস্ব ব্যবসা। কাজের ফাঁকে চর্চা করেন লেখালেখির। সংগীতকে আরও গভীরভাবে আঁকড়ে ধরতে খুব শিগগিরই আমিরাতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার কথা জানালেন তিনি। বললেন, 'শিগগিরই আমিরাতে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা করবো। যার মাধ্যমে প্রবাসী শিল্পীদের একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।' নিজের লিখা কিছু গান দিয়ে খুব তাড়াতাড়ি প্রবাসী শিল্পীদের একটি অ্যালবামও করার কথা ভাবছেন আজাদ লালন।
ইচ্ছে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সংগীত ভুবনে যেমন সফলতা চিহ্ন আঁকতে চান তেমনি ব্যক্তিগত জীবনের সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতেও চান তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের ইচ্ছের কথা জানিয়ে বললেন, 'আমার দুই ছেলে। বড়ছেলে মেডিক্যাল পড়ছে, ছোট অষ্টম শ্রেণিতে। বড়জন ডাক্তার হবে আর ছোট ছেলেকে সেনাবাহিনীতে দিতে চাই। যাতে দুটো ছেলেই দেশের জন্য কাজ করতে পারে।'
উল্লেখ্য, আজাদ লালন আমিরাতে সিলেট ক্লাব নামে একটি ক্রীড়া সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। যেটি খুব শিগগিরই সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব এ রূপ নিতে যাচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা