সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলা কমিউনিটির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মানেই বাংলা গানের আসর। বাংলার টানে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা প্রবাসীদের বাংলা গানে মাতিয়ে রাখেন মাসুস জাবেদ। আমিরাতের যেখানে বাংলা গান সেখানেই উপস্থিতি মাসুমের। কিশোর বয়স থেকে সংগীতকে আঁকড়ে ধরা মাসুমের বাড়ি ঢাকার শাহজাতপুর। ছাত্রজীবন অতিবাহিত হয় ঢাকা তিতুমীর কলেজে।
ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে পাড়ি জমান ২০০৩ সালের মাঝামাঝিতে। দুবাই এয়ারপোর্টে চাকুরীর পাশাপাশি প্রবাসেও থেমে থাকেনি তার সংগীত চর্চা। দিনে দিনে হয়ে উঠেছেন দুবাইয়ে বাংলাদেশি সংগীত শিল্পীদের একজন। খুব কম সময়ে ছড়িয়ে পড়ে পুরো আমিরাতে তার নাম। মাসুমের সংগীত চর্চা শুরু হয় ১২ বছর বয়স থেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন সংগীত প্রতিযোগিতায়। একসময় গান করেছেন বিটিভি ও রেডিও তে। বিস্তার লাভ করে তার সংগীত ভুবনের পরিধি। ২০০৪ সালে বাজারে আসে 'কেন কষ্ট দিলে' শিরোনামে তার একক অ্যালবাম। সুরকার ছিলেন রাজেশ, প্রদীপ শাহ, শফিক তুহিন, মিল্টন খন্দকার।
আমিরাতে এসে আবার সংগীতের হাল ধরেন বাঁধন থিয়েটারের মাধ্যমে। শুরু হয় কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন। প্রথম দিকে বেগ পেতে হলেও বতর্মানে দুবাইয়ের সফল সংগীত শিল্পীদের একজন মাসুম। ২০০৪ সাল থেকে যন্ত্রশিল্পী সুবীর, তালহা, তানভিরকে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চর্চা। ধীরে ধীরে বাংলদেশি শিল্পীর অভাব পূরণ করে যাচ্ছেন তিনি। যেমনি তার ইচ্ছে ভাল শিল্পীদের সাথে গান করার, তেমনি তিনি গান করেছেন আসিফ, এসডি রুবেল, মনির খান, পিয়াল হাসান, সোহেল রুমি, আতিক বাবু ও ফকির শাহবুদ্দিনের মতো শিল্পীর সাথে।
দুবাইয়ের প্রবাসী সাংবাদিক ও বাংলাদেশি শিল্পীদের উৎসাহে তিনি নিজেকে আরও বেশি তুলে ধরতে চান। যার প্রমাণ স্বরূপ প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা তার ফোক ও আধুনিক গানের সমন্বয়ে নতুন অ্যালবাম। বাংলা গান শুনতে আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভালো গান উপহার দিতে যেমন বদ্ধপরিকর তেমনি দুবাইয়ে একটি বাংলা গানের স্কুল করার স্বপ্নও দেখছেন মাসুম।
মাসুম জানান, 'প্রবাসী বাংলাদেশিদেন এখানে বাংলা গান শুনার সুযোগ খুব কম, তবুও তারা বাংলা গান শুনতে খুব আগ্রহী। তাই প্রবাসীদের জন্য ভাল কিছু গান উপহার দিতে চাই। বিশেষ করে দুবাইতে একটি সংগীত স্কুল করার ইচ্ছে আছে। যাতে করে প্রবাসী ছেলে মেয়েরা বাংলা গানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারে।'
বিডি-প্রতিদিন/০৪ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব