যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে আর্মস সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান এবং রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সিনেটর জন ম্যাককেইন এবং সিনেটে ফাইন্যান্স কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সিনেটর রোবার্ট ক্যাসি, কংগ্রেসম্যান (ডেমক্র্যাট) লিংকন ডেভিস, প্রতিনিধি পরিষদে এপ্রোপ্রিয়েশন কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান (রিপাবলিকান পার্টি) হ্যারল্ড রোজার্স এবং প্রতিনিধি পরিষদে পরিবেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান (রিপাবলিকান) কেন কালভার্টসহ প্রভাবশালী সিনেটর-কংগ্রেসম্যানরা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন।
ইন্টারন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট অনুষ্ঠানে এসব সিনেটর-কংগ্রেসম্যানের সাথে একান্তে মিলিত হওয়ার সুযোগ পান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে এ মোমেন। তখন তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির প্রশংসা করেন। এ অনুষ্ঠানে শতাধিক দেশের ৩৫০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি, ধর্মীয় নেতা, সমাজসংগঠক, রাজনীতিকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা।
রাষ্ট্রদূত মোমেন জানান, অতিথিগণের প্রতিটি টেবিলে অন্তত দু’জন করে সিনেটর অথবা কংগ্রেসম্যান ছিলেন। হোস্ট হিসেবে তারা আমাদের সাথে নানা কথা বলেছেন। জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশের কথাও। সিনেটর ম্যাককেইন আমার পরিচয় জেনেই উল্লাসিত কণ্ঠে বলেন, তার এক মেয়ে হচ্ছেন বাংলাদেশের এবং তার নাম ব্রিজেট ম্যাককেইন। তার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে আমার বিশেষ একটি সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সিনেটর একইসাথে আরও উল্লেখ করেন যে, অকল্পনীয় জনসংখ্যার ভারে ন্যুব্জ বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ঠ অগ্রগতিসাধন করেছে-এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্যে নিরন্তরভাবে কাজ করছেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। কংগ্রেসম্যান রোজার্স এবং লিংকন অত্যন্ত আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ জানুয়ারি, ২০১৫/মাহবুব