আরব আমিরাতের আবুধাবী চট্টগ্রাম সমিতির ১০ বছর পুর্তিতে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রয়েল ক্যাসেল হোটেলে অনুষ্ঠিত প্রীতি সমাবেশ ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে রবিবার রাতে স্থানীয় গ্রিন দরবার রেস্টুরেন্টের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয় মত বিনিময় সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলী রেজা। তিনি ইতিহাসে চট্টগ্রামের ভূমিকা তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ্য করেন, 'বিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের অংশ্রগ্রহণ ছিলো উল্লেখ করার মতো। চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি শিল্প ঐহিত্য, আঞ্চলিক ভাষাকে নতুন প্রজন্ম ও সমাজের কাছে তুলে ধরে চট্টগ্রাম প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। একজন সচেতন চট্টগ্রাম প্রবাসী হিসেবে নিজস্ব ইতিহাস ও গৌরবের অংশীদার হবায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা সবার নৈতিক দায়িত্ব।'
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ন আ ম বদুরদ্দিন বলেন, 'প্রবাসে চট্টগ্রামের কোন লোক বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না, মর্গেও থাকবে না। কর্মকর্তারা এগিয়ে আসলে, এগিয়ে যাবে সমিতি। চেষ্টা করবো নিরপেক্ষতা ও ঐক্য ধরে রেথে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য আর চট্টগ্রামবাসীর ওয়েলফেয়ারের জন্য কাজ করে যাবার ।'
আমিরাতের অন্যান্য বিভাগগুলোতে 'চট্টগ্রাম সমিতি' থাকায় কোন বিভাজন হবে কিনা প্রশ্ন করলে বদুরদ্দিন বলেন, 'আমরা গিয়েই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো। বিভাজন নয় বরং একাতায় আনার চেষ্টা করবো।'
সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নাছির তালুকদারের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ন আ ম বদরুদ্দিন, কমিউনিটি নেতা ইফতেখার হোসেন বাবুল, আমিরাত বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী রফিক সিকদার, খায়েদ ইয়ার, আবদুল মোতালেব, মুনীর চৌধুরী, সেলিম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ইমরাদ হোসেন ইমু, ইসমত পাশা, শওকত, মনিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল হক, খোরশেদ আলম রাজু, আবু মুসা, বেলায়ত হোসেন হিরু, মোহাম্মদ আলমগীর, আবু নাছের প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশন আবুধাবী প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর কবির বাপ্পি, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি কামরুল হাসান জনি, বাংলাভিশন আবুধাবী প্রতিনিধি মোরশেদ আলম, যমুনা টিভি ইউএই প্রতিনিধি রফিক উল্লাহ ও একুশে টিভি আবুধাবী ক্যামেরাম্যান আব্দুল আলিম সাইফুল।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫/ রশিদা