'যারা সুশীলের বেশ ধরে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করে বিএনপি জামাতের নাশকতায় উসকানি দিচ্ছে তাদের প্রমাণ ও কথোপকথন আমাদের হাতে আছে। খোকা-মান্নার মতো ক্রমান্বয়ে সেসব সুশীলদের কথোপকথনও প্রকাশ করা হবে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার গ্রেফতার করে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে। এমনকি সময়মতো খালেদার গ্রেফতারি পরোয়ানাও কার্যকর করা হবে।'
শুক্রবার রাতে দুবাই আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'হাওয়া ভবনের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছে। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত স্মরণ করলেই দেখা যায় তারা গ্রেনেড ও সিরিজ বোমা নিক্ষেপ করার মাধ্যমে আইএস ও জঙ্গীদের এজেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করেছে। বর্তমানে আল কায়দার স্টাইলে হরতাল ডেকে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। হরতাল অবরোধ দিয়ে কোমলমতি শিশুদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। জঙ্গীদের সাথে কোনো বৈঠক নয়। 'নো কম্পোমাইজ' আইএস ও জঙ্গীদের যেভাবে দমন করা হয় তেমনি বাংলাদেশেও পেট্রল বোমাবাজদের দমন করা হবে।'
দুবাইয়ের মার্কোপলো হোটেলে আয়োজিত সম্মেলনে দুবাই আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএই আওয়ামী লীগের সভাপতি আল মামুন সরকার, দুবাই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ক্যাপ্টেন আবু আহাদ, ইউএই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নিজাম, আবুল হোসেন, এহসানুল হক চৌধুরী, শাহজাহান মিয়াজী, শমর সাহ, তালেব আলী, শাহ মাসুদ, শহিদ উল্ল্যাহ।
শাকিব রাদিতুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী সবোধ চৌধুরী, মাসুদ চৌধুরী, ইউনুস চৌধুরী , বাবুল খান, শাহবুদ্দিন, প্রকৌশলী এনামুল হক, রুবেল আহমেদ শিবলু, মোহাম্মদ রাসেদ প্রমুখ।
পরে খাদ্যমন্ত্রী দুবাই আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের নাম ঘোষণা করেন। নব কমিটিতে মনোনীত হয় সভাপতি পদে দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাকিব রাদিতুল্লাহ বাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কায়সার হামিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেদ।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মার্চ, ২০১৫/ রশিদা