বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হওয়ায় উচ্ছ্বসিত দুবাই প্রবাসীরা। দুবাই বাংলাদেশ কনসুলেট ও দুবাই-উত্তর আমিরাত কমিউনিটি যৌথভাবে এ বিজয় উদযাপন করতে আয়োজন করে প্রীতিভোজ ও আনন্দ উৎসব। কনস্যুলেটের আমন্ত্রণে বিজয় উদযাপন করতে সাড়া দেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতের প্রবাসীরা। ভিন্ন ভিন্নভাবে তারা জানায় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টা থেকে 'বাংলাদেশ', 'বাংলাদেশ' ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে শুরু হয় বিজয় উৎসব। এক পর্যায়ে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যানারে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন দুবাই কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, 'এ বিজয় আমাদের ঐক্যবদ্ধ করার সুযোগ করে দিয়েছে। এ খেলা দিয়েছে আমাদের আনন্দ, আশা করছি বাংলাদেশ দল ফাইনাল খেলবে।'
বক্তব্যের একটু পর দলমত ভুলে একই ব্যানারে ছবি তোলেন উপস্থিত কমিউনিটির নেতারা। ক্লিক ক্লিক আলোর ঝলকানির মধ্যেই হঠাৎ শোনা গেল পাল্টাপাল্টি স্লোগান 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু', 'জিয়ার সৈনিক এক হও'। প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির ব্যানারে এসেও এসময় বিভক্ত হয়ে যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আক্রমণাত্মক কটূবাক্য আর স্লোগানের তলায় চাপা পড়লো প্রবাসী বাংলাদেশি ও সাংবাদিকদের উল্লাস ধ্বনি। এক পর্যায়ে বেঁধে যায় দু'পক্ষের সংর্ঘষ, হাতাহাতি শেষে মারামারি।
কনস্যুলেট কর্মকর্তারা দফায় দফায় থামিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর আবারও শুরু হয় স্লোগান, ফের হাতাহাতি। এক পর্যায়ে সংর্ঘষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দুবাই পুলিশের একটি টিম। সেসময় সিনিয়র নেতাদের অনুরোধে কিছুটা চুপ থাকলেও কিছু সময় পর পুনরায় স্লোগানকে ঘিরে শুরু হয় দু'পক্ষের হাতাহাতি। বিশৃঙ্খলাকারীদের শান্ত হতে বার বার অনুরোধ করেন কনসাল জেনারেল। আগামীতে সম্মিলিত এমন অনুষ্ঠানের আর আয়োজন করা হবে না বলে এসময় তিনি মাইক্রোফোনে ঘোষণা দেন।
রাজনৈতিক মোড় নেয়ায় আনন্দ উৎসব ও প্রীতিভোজে যখন বিষাদময় তখন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি উপস্থিত হলে অনুষ্ঠান বয়কট করে চলে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
তাৎক্ষণিক এমপির উপস্থিতে কনসাল জেনারেলের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় জরুরি বৈঠক। বৈঠকে ইউএই যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম নিজামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, কনসাল জেনারেল মাসুদুর রহমান, কাজী মোহাম্মদ আলী। কনস্যুলেটের প্রথম সচিব (শ্রম) একেএম মিজানুর রহমানসহ উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাকর্মীরা।
বিডি-প্রতিদিন/১০ মার্চ, ২০১৫/মাহবুব/ রশিদা