১/১১তে গঠিত বহুল আলোচিত কেয়ারটেকার সরকার কর্তৃক শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেফতারের সংবাদ জানার পর একইদিন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সামনে সর্বপ্রথম বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আওয়ামী পরিবারের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটে। সে সমাবেশ গর্জে উঠেছিল ‘রিলিজ রিলিজ-শেখ হাসিনা’ শ্লোগানে। আর এ শ্লোগান সর্বপ্রথম দিয়েছিলেন কাজী মনিরুল হক।
শেখ হাসিনা মুক্তিলাভের পর সর্বপ্রথম বোস্টনে অবতরণের সময়ে এয়ারপোর্টে সমবেত সকলে তাকে আবারো সেই শ্লোগান দিতে বলেন। এভাবে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যতবার শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে এসেছেন ততবারই ‘রিলিজ রিলিজ-শেখ হাসিনা’ শ্লোগানের জনক হিসেবে তাকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। সেই কাজী মনিরুল হক ২০ মে সকালে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তার নেতৃত্বে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি সবসময় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত সদস্যদের দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।
কাজী মনিরুল হকের মৃত্যু সংবাদ জেনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী কাজী মনিরুল হক বসতি গড়েছিলেন চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন কয়েক বছর। ২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্র্যান্ট হয়ে এসেছিলেন। নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনে থাকতেন। বছরখানেক আগে থেকে তিনি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশ ক’মাস নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কয়েক সপ্তাহ আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বাংলাদেশে চলে যান অবশিষ্ট দিনগুলো স্বজনের সঙ্গে কাটানোর জন্যে।
মৃত্যুকালে কাজী মনিরুল হকের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ কন্যা, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহি রেখে গেছেন। তার মৃত্যু সংবাদে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, স্টেট আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক লীগ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সমন্বিত পেশাজীবী পরিষদ, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে এনআরবি নিউজকে প্রদত্ত বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ মে, ২০১৫/ রশিদা