নিহত মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিত রায় এবং তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘দ্য ববস-বেস্ট অফ অনলাইন অ্যাক্টিভিজম’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জার্মানির বন শহরে ‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম’ এ মুক্তমনার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন বন্যা। খবর বিডি নিউজের।
এসময় বন্যা বলেন, মুক্তমনার যে কোনো অর্জন বা প্রাপ্তি অভিজিতের কাছে ছিল দুনিয়া পাওয়ার মতো ব্যাপার। মুক্তমনা ছিল অভিজিতের গর্ব ও আনন্দ। এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করতে পারলে তার চেয়ে সন্তুষ্ট কেউ হতে পারত না। 'দ্য ববস অ্যাওয়ার্ড' মুক্তমনা মডারেশন টিম, ব্লগার এবং সামগ্রিকভাবে মুক্তমনা কমিউনিটিকে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করে বিশ্বে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে-এমন প্রকল্পকে সম্মান জানাতে ‘সামাজিক পরিবর্তন’ বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ডয়েচে ভেলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিজিত রায় হত্যাকাণ্ডের পর মুক্তমনা ব্লগ সাইট কয়েকবার হ্যাকারদের আক্রমণের শিকার হয়। গত ফেব্রয়ারিতে ঢাকায় সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে নিহত ব্লগার-লেখক অভিজিত ও বন্যার মুক্তমনাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে বলে ডয়েচে ভেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ‘দ্য ববস-বেস্ট অফ অনলাইন অ্যাক্টিভিজম’ অ্যাওয়ার্ডের ‘সামাজিক পরিবর্তন’ বিভাগে জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে মুক্তমনা। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে, ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মুক্তমনা ব্লগ। আর সেই কাজের জন্য চড়া মূল্যও দিতে হয়েছে সাইটটিকে।
ধর্মীয় উগ্রবাদীদের হুমকির মুখে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অভিজিত ও বন্যা বইমেলায় অংশ নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ফিরলে তাদের উপর হামলা করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা সংলগ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় হামলাকারীদের চাপাতির আঘাতে নিহত হন অভিজিত। হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও একটি আঙুল হারান বন্যা। মাথায়ও গুরুতর আঘাত পান তিনি। ডয়েচে ভেলে বলেছে, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও বিজ্ঞানমনস্কতা নিয়ে মুক্তমনার কাজে ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সেখান থেকে তারা হত্যার জন্য ৮৪ জন ব্লগার ও সাংবাদিকের একটি তালিকা প্রকাশ করে। যাদের মধ্যে আটজনকে এরইমধ্যে মেরে ফেলা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ জুন, ২০১৫/ রোকেয়া।