বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে বার্ষিক ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি বার্ষিক কমপক্ষে ১০ লাখ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে এ উন্নীত করা সহজ হবে।
বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বস্টন ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্টের প্রেসিডেন্ট এবং বস্টন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির এমিরিটাস অধ্যাপক গোস্তব এফ প্যাপানেক এসব কথা বলেছেন।
'উদ্যোক্তা সৃষ্টি, বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন' শীর্ষক দুই দিন ব্যাপী ওই সম্মেলনের সমাপনী ছিল শুক্রবার। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণারত শিক্ষক ছাড়াও জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।
প্যাপানেক বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বের অনেক দেশে প্রবৃদ্ধি কমছে। সেখানে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে ছয় ভাগের উপরে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। যা বর্তমানে সাত ভাগের উপরে। ৮০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য কমে বর্তমানে ৩০ শতাংশের নিচে নেমেছে। রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যা বিশ্বের অনেক দেশের পক্ষেই সম্ভব হয়নি।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির লেবার অ্যান্ড ওয়ার্কলাইফ প্রোগ্রামের গবেষণা-পরিচালক ড. জন ট্রাম্পবোর বলেছেন, গণতান্ত্রিক সমাজে শ্রমিক সংগঠনের অপরিহার্যতা রয়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশে শ্রমিকের ভাগ্য উন্নয়নে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এগিয়ে চলার পথ ত্বরান্বিত করার স্বার্থে আরও অনেক কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।
বিডি প্রতিদিন/১৩ মে, ২০১৭/ফারজানা