নিউইয়র্কে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল শাহেদুল ইসলামকে জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে বদলি করা হয়েছে। কাউন্সেলর হিসেবে তার এ বদলির আদেশ কার্যকর হয় গত ২০ জুন।
এদিকে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৮ জুন কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে। গৃহকর্মীকে নির্যাতন ও মানবপাচারসহ প্রায় ২০টি অভিযোগে অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতে বক্তব্য রাখেন। আদালত আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩ অক্টোবর ধার্য করেন।
এর আগে শাহেদুল ইসলামের পাসপোর্ট ফেরত চেয়ে একটি মৌখিক আবেদন করেছিলেন আইনজীবীরা। এবার শুনানি শেষে আদালত পাসপোর্টের বিষয়ে নতুন করে লিখিত আবেদন জমা দিতে বলেছেন। ১১ জুলাইয়ের মধ্যে এ আবেদন করতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২০ জুন তিনি এ নয়া দায়িত্বে যোগদান করেছেন বলে মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি নূর ইলাহি মিনা ৩০ জুন এনআরবি নিউজের এ সংবাদদাতাকে জানান। বর্তমান চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তিনি ওই পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া তিনি সব কূটনৈতিক সুবিধা পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
গৃহকর্মীকে নির্যাতন, ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা ও মানবপাচারের অভিযোগে ১২ জুন সকালে জ্যামাইকার বাসা থেকে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলামকে আটক করে নিউইয়র্ক পুলিশ। আটকের পরপরই কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে তাকে হাজির করা হয়। সেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে শুনানি শেষে বিচারক ড্যানিয়েল লুইস তার জামিনের জন্য ৫০ হাজার ডলারের বন্ড বা নগদ ২৫ হাজার ডলার জমা দেয়ার শর্ত দেন।
একই সঙ্গে বিচারকের সামনে তাৎক্ষণিক তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। মার্কিন আদালত তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট জব্দ করেছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশি কূটনীতিক শাহেদুল ইসলামকে।
এদিকে শাহেদুল ইসলামকে পুরো কূটনৈতিক সুবিধা না দিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে বাসা থেকে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। অনেকেই কংগ্রেসম্যানসহ নীতি-নির্দ্ধারকদের কাছে এ নিয়ে কথা বলেছেন। কুইন্স সুপ্রিম কোর্টের সামনেও মানববন্ধন হয়েছে এমন আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ হিসেবে। একইসাথে সকলেই প্রত্যাশা করছেন শাহেদুল ন্যায় বিচার পাবেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-২১