স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদ ‘বায়তুল মুকাররাম’ পরিদর্শন ও ইফতারে যোগ দিয়েছেন স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
স্থানীয় সময় সোমবার (১১ জুন) বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান আয়োজিত ইফতার মাহফিলে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আমন্ত্রণে তারা মসজিদটি পরিদর্শন ও মুসলমানদের সাথে এক কাতারে বসে ইফতার করেন।
মাদ্রিদ সিটি কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র খোরখে গ্রাসিয়া কাস্তিয়ানো, নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলর খাবিয়ের বারবেরো, মাদ্রিদ ম্যুনিসিপাল পুলিশের প্রধান পরিদর্শক ফ্রান্সিসকো কালেত্রিয়োসহ সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ কর্মকর্তারা মসজিদ পরিদর্শন শেষে সমবেত মুসল্লিদের সাথে মতবিনিময়ও করেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি খোরশেদ আলম মজুমদারের সভাপতিত্বে ও মানবাধিকার সংগঠন ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি ফজলে এলাহির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, মাদ্রিদ ম্যুনিসিপাল পুলিশ (দক্ষিণ) প্রধান খুয়ান মানুয়েল, সিটি কর্পোরেশন সেবা কেন্দ্রের প্রধান প্রধান ব্যবস্থাপক কারমেন সোপেদা, অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মাদ্রিদের পরিচালক কার্লেস জিমেনেস রমেরো, মাদ্রিদ সেবা কেন্দ্রের প্রধান বেগোনিয়া, সেন্ত্র মাদ্রিদ স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টনি, রেড ইন্টার লাভাপিয়েস এর প্রধান পেপা টোরেস, এররে এসের প্রধান সিমেন্স, সেন্ত্র সান লরেন্সের পরিচালক সাগররিও, মাদ্রিদ গির্জার প্রধান খসে লুইস সাঞ্চো, রাণী সুফিয়া জাদুঘরের পরিচালক আনভ লোনগনি, ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহান, ভালিয়েন্তে বাংলার সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী আফরোজা রহমান প্রমূখ।
আমন্ত্রিত সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশের কর্মকর্তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের বিভিন্ন কার্যক্রম ও এক সাথে বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের ইফতার করার আয়োজন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তারা লাভাপিয়েস অঞ্চলে মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের প্রশংসাও করেন। এসময় মসজিদ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে লাভাপিয়েসে স্থায়ী মসজিদের জন্য একটি স্থান বরাদ্দের দাবি জানালে ডেপুটি মেয়র খরখে গ্রাসিয়া কাস্তিয়ানো এ মুহূর্তে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেয়ার মতো কোন স্থান আপাতত নেই উল্লেখ করে ভবিষ্যতে চেষ্টা করা হবে বলে জানান।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, মসজিদে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইফতার আয়োজনে সমবেত হতে পেরে আমি আনন্দিত। সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখে তিনি বলেন, আমরা যতবেশি একজন আরেকজন সম্পর্কে জানতে পারবো, তত বেশি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নতি হবে। মতবিনিময় শেষে সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মসজিদে ছয় শতাধিক রোজাদারের সাথে ইফতারে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ইউরোপে সম্প্রতি তথাকথিত ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীর হামলায় মুসলমান ও মসজিদ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা প্রকট আকার ধারণ করে। প্রশ্ন ওঠে মসজিদের কার্যক্রম নিয়েও। এমন পরিস্থিতিতে মাদ্রিদে বাংলাদেশি মসজিদ ‘বায়তুল মুকাররম’ পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অমুসলিমদের জন্য মসজিদটি উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। গত মাসে মাদ্রিদ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মানুয়েলা কারমেনা কাস্ত্রিয়োও এ মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন