সাংগঠনিক ঐক্য অটুট রাখা সম্ভব হলে সামনের নির্বাচনে নৌকা মার্কার বিজয় কেউই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। পুনরায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পথ সুগম করতে সিলেট-১ আসনেও বিপুল বিজয় অর্জিত হবে। এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ছেড়ে দেয়া সিলেট-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন।
সদ্য সমাপ্ত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ চিহ্নিত করার পর কয়েকজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের ঘটনাটিকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক এই কূটনীতিক ও যুক্তরাষ্ট্রের এমিরিটাস অধ্যাপক ড. মোমেন আরো বলেন, ‘ঘরের শত্রু বিভিষণ। সিটি মেয়র নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগুতে হবে।’
‘সিলেট হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। সেই ঘাঁটি এখন অনেক মজবুত হয়েছে বর্তমান অর্থমন্ত্রী কর্তৃক উন্নয়ন প্রকল্পে বিপুল অর্থ বরাদ্দের মধ্য দিয়ে। উন্নয়নের এ স্বীকারোক্তি সদ্য নির্বাচিত সিলেট সিটির মেয়র আরিফও বিমুগ্ধ চিত্তে স্মরণ করছেন’-উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
দীর্ঘ ৩৬ বছরের প্রবাস জীবন ছেড়ে ৩ বছর আগে শেখ হাসিনার আহ্বানে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসতি গড়া ড. মোমেন কানাডায় বিশ্ব সিলেট সম্মেলনে অংশ নিতে গত মাসের ৩১ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরই ‘ইউরিনাল স্টোন’ রোগে আক্রান্ত বলে চিকিৎসকরা জানান। ১৩ সেপ্টেম্বর নিউজার্সির হ্যাকেনসেক ইউনিভার্সিটি মেডিকেল হাসপাতালে ‘লেজার-অস্ত্রোপচার’র মাধ্যমে সেই পাথর গুড়িয়ে বের করা হয়েছে। এখন তিনি পরিপূর্ণ সুস্থ বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ফিরে যাবেন সিলেটে নির্বাচনী ময়দানে মনোনিবেশ করতে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সপ্তাহ খানেক বিশ্রামে থাকার মধ্যেই ১৫ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ড. মোমেন নিউইয়র্কে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক সংগঠকদের সাথে এক প্রাণবন্ত আড্ডায় বসেন।
যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এ আড্ডা সঞ্চালনা করেন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার।
‘বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন এবং প্রবাসীদের করণীয়’ শীর্ষক এ আড্ডায় অংশ নেন সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সেক্রেটারি রেজাউল বারি, সহ-সভাপতি আবুল বাশার চুন্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ রায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক উইনি নন্দ, মহিলা সম্পাদিকা সবিতা দাস, নির্বাহী সদস্য এম এ আওয়াল, শহিদুল হক, নূরল ইসলাম, ড. রফিক আহমেদ এবং নান্টু মিয়া, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত, বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানী স্মৃতি পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হাজী নজমুল ইসলাম চৌধুরী, অপ্টিমিস্ট’র সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী রানা, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগের নেতা ইফজাল চৌধুরী, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট ইভা তালুকদার, ফকু চৌধুরী প্রমুখ।
গত ৯ বছরে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন ঘটেছে তা অব্যাহত রাখতে আরো এক টার্ম শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী রাখার বিকল্প নেই বলে সকলে মন্তব্য করেন। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলার পথ সুগম রাখতেই বঙ্গবন্ধু কন্যা এবং তার দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার সংকল্পও ব্যক্ত করেন মুক্তিযোদ্ধারা। একইভাবে সিলেট-১ আসন থেকে ড. মোমেন (শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দেন) এর বিজয়ে সকলে কাজ করবেন বলে উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন