‘রাষ্ট্রীয় ও প্রাইভেট ব্যাংকসহ বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধে লুটপাট হচ্ছে। শেয়ার মার্কেট থেকে ৯০ হাজার কোটি টাকা সরানোর তদন্ত রিপোর্ট আজ অবধি প্রকাশ করা হয়নি। নিউইয়র্কে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ সম্রাট।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতিন এবং প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব সোলায়মান ভূইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, ছাত্রদলের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি, বিএনপি নেতা কাজী আজহারুল হক মিলন, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, আনোয়ারুল ইসলাম, বাবুল চৌধুরী, আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নু, সোহরাব হোসেন, নাসিম আহমেদ, জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, আনোয়ার হোসেন, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, এডভোকেট আরিফ, শাহাদৎ হোসেন রাজু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ৫ বছর আগে বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটির অনুমোদন না আসায় সাবেক কর্মকর্তারা ৫ খন্ডে বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম-আন্দোলন পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি মহাসচিব মির্জা ফখরুল নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসি সফরের সময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকেই সাক্ষাত দেননি। এর ফলে সদস্য-কর্মকর্তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
এ প্রসঙ্গে সাবেক সভাপতি লতিফ সম্রাট বলেন, ‘যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কমিটির খবর নেই। এ নিয়ে আমরা হতাশ হলেও সময়ের প্রয়োজনে রাজপথ ছাড়িনি।’
‘পদ-পদবির তোয়াক্কা না করে আমরা বিএনপির এই চরম সংকটে মাঠে রয়েছি। চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে’ বলেন গিয়াস আহমেদ।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনার নিউইয়র্কে অবস্থানকালে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, জাসাসের নেতা-কর্মীরা সর্বত্র বিক্ষোভ, কালো পতাকা প্রদর্শন অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন