মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএমসি) অভিযানে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ৬জন ইমিগ্রেশন পুলিশকে গ্রেফতার করেছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুয়ালালামপুর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট(কেএলআইএ) থেকে ৬জন ইমিগ্রেশন পুলিশক গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন। গ্রেফতারকৃতদের বয়স আনুমানিক ২৭ থেকে ৩৬ বছর। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, চায়না, ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মায়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, নেপাল, ইরান ও উজবেকিস্তান উল্লেখিত দেশের অভিবাসীদের পুঁজি করে এই সিন্ডিকেট গ্রুপ গড়ে ওঠে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য প্রত্যেকের ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্রটি। তবে সব থেকে বেশি চার্জ নেয়া হত বাংলাদেশিদের বলে উল্লেখ করেছেন মালয় পত্রিকা ওতুসান
আটককৃত অভিবাসন বিভাগের ৬ কর্মকর্তার বিলাসবহুল জীবন যাপন ও তাদের কর্মকেণ্ডের কারণে এই সিন্ডিকেট গ্রুপটির সন্ধান পায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
প্রতি মাসে এই গ্রুপটি সর্বনিম্ন ৬০ লাখ টাকা ইনকাম করত বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করিয়ে। অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো সেরি মোস্তফার আলী জানান, আটককৃত ইমিগ্রেশন পুলিশের বিরুদ্ধে কালো তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের অনুমতি এবং অবৈধদের বিনা ডকুমেন্টে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।
ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী জানান, দুর্নীতি বা সততা লঙ্ঘনের দায়ে দোষী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তার কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, "আমরা এই ব্যক্তিদের অভিযুক্ত ট্রেন্ডিকিং এবং অভিবাসী আইন অ্যাক্ট- চোরাচালান অ্যাক্ট ২০০৭ এর অধীনে ইমিগ্রেশন অফিসার এবং (সদস্যদের) গ্রেফতারের সিরিজ পরিচালনা করেছি এবং তাদেরকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে"। আজ বিবৃতিতে মুস্তাফার আরও বলেন যে, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সততা সর্বাধিক পর্যায়ে নিশ্চিত করার জন্য বিভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষমতার অপব্যবহার মোকাবেলা করার জন্য সম্মতি ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভাগটি এমএসিসি সহ অন্যান্য সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাও প্রতিষ্ঠা করছে। সূত্র: দ্য ইস্টার অনলাইন
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন