যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘ডিক্লারেশন অব অনর’ সম্মাননা পেলেন অঙ্গরাজ্যটিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা।
নিউইয়র্কের শহর কুইন্সের বরো প্রেসিডেন্ট মেলিন্ডা কাটজ তার প্রতিনিধির মাধ্যমে কনসাল জেনারেলকে শনিবার এ সম্মাননাপত্র পাঠান।
এবারই প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কোন কনসাল জেনারেল কুইন্স বরো প্রেসিডেন্টের এই সম্মাননা লাভ করেন।
বরো প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষরিত এই-GB Declaration of Honor'-এ বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রদত্ত কমিউনিটির সেবার মানবৃদ্ধি পাওয়া এবং বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মেলিন্ডা কাটজ উল্লেখ করেছেন যে, কনসাল জেনারেল সাদিয়া কমিউনিটির সেবামূলক বিভিন্ন কাজে সাফল্য লাভ করায় তিনি অত্যন্ত গর্বিত।
উল্লেখ্য, সাদিয়া নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল হিসেবে যোগদানের পরই কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ ও সহাযোগিতা বৃদ্ধি করেন। কুইন্স বরোতে প্রকৃত আকারে শহীদ মিনার স্থায়ীভাবে স্থাপনের প্রস্তাব উপস্থাপনা করেন এবং এ বিষয়ে মেলিন্ডা কাট্জ এর সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়াও নিউইয়র্কে বিভিন্ন এয়ারপোর্টে অন্য ভাষার সঙ্গে বাংলা ভাষায় 'স্বাগতম' অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালানোর জন্য বরো প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানান। এছাড়াও তিনি কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট অফিস কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করেন কনসাল জেনারেল।
উল্লেখ্য, কুইন্স বরোতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী, ভাষা ও বর্ণের ২৪ লক্ষাধিক অভিবাসী বাস করছে। সারা আমেরিকায় যত বাংলাদেশি রয়েছে তার ২৫% বসবাস করছে এই বরোতে। এসব কারণে, কনসাল জেনারেল সাদিয়া কুইন্স বরোর সর্বস্তরের প্রশাসনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রচনার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি জাগ্রত রাখার নিরন্তর একটি প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন-ইতিহাস এই বরোর কর্ণধারদের মাঝে বিশেষভাবে উপস্থাপন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/৩১ মার্চ ২০১৯/আরাফাত