ওমানের আল বারকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আমিন উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ওমানের বারকা-সোহার- দুবাই রোডে এ ঘটনা ঘটে। তবে বৈধ কাগজ না থাকায় আমিন উদ্দিনের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
আমিন উদ্দিনের বাড়ি ফড়িকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে। ওমানে কর্মরত আমিনের চাচাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন জানান, বুধবার রাত নয়টায় খবর পাই বারকা-সোহার- দুবাই রোডে একটি লাশ পড়ে আছে। উৎসুক জনতার মতো আমিও দেখতে গেলাম, গিয়ে দেখি এটি আমিনের নিথর দেহ। সড়ক পার হতে গিয়ে কোন এক গাড়ির চাপায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পরে পুলিশ এসে লাশ মর্গে নিয়ে যায়।
নিহত আমিনের ভিসা না থাকায় লাশ দেশে পাঠাতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তার প্রতিবেশি স্বজনরা লাশ দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসে যোগাযোগ করেছে বলে জানা যায়। এদিকে তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
জানা যায়, আমিনের বাবা বয়োবৃদ্ধ। এক ভাই ও তিন বোনের দুই বোনই মানসিক ভারসাম্যহীন। একমাত্র বড় বোন বিবাহিত। পাঁচ সদস্যের হতদরিদ্র অভাবের সংসারটির লাগাম যখন পরিবারের ছোট্ট ছেলে আমিনের (২৩) কাঁধে, তখন ধার দেনা করে কোনভাবে তিন বছর পূর্বে পাড়ি দিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে।
সে ওমানের সালালাহ নামক স্থানে বাগানের ভিসায় আসলেও অনেক পরিশ্রম করতে হতো সেখানে। তাই ভিসার মেয়াদ শেষ হতেই এক বছর পূর্বে পালিয়ে রাজধানীর নিকটে বারকার ওয়াকদা নামক স্থানে ভিসাহীন হয়ে একটি লন্ড্রির দোকানে চাকরি করে আসছিলো আমিন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল