ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাহরাইনে উদযাপিত হলো ঈদুল আজহা। গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৫টা:২৫ মিনিটে স্থানীয় জুফেয়ার আল ফাতেহ গ্র্যাণ্ড মস্ক জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাহরাইনের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যাক্তিবর্গের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের কুটনীতিক, রাজনৈতিক ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দসহ সব শ্রেণির নারী পুরুষ ঈদ জামায়াতে মিলিত হয়। ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় এ মসজিদের সাথে মিল রেখে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থান মানামা, রিফা, হামাদ টাউন, ঈসা টাউন মহোরক, বুসাইটিন, চিতরা, হিদ, আরদসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মসজিদ ও ঈদগাহে স্থান সংকুলান না হওয়ায় রাস্তায় রাস্তায় ও বাজারের গলিতে মোসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব উদযাপন করেন মুসলিম সম্প্রদায়।
এ সময় খুতবায় মুসলিম উম্মাহের জন্য দোয়া করা হয়। এ উপলক্ষে বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন অপরাধে সাজা প্রাপ্ত ১০৫ জন বন্দিকে ক্ষমা ও মুক্তি ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ও অন্যান্য দেশের লোকদের মত বাংলাদেশি পরিবারগুলো ও কোরবানিতে শরীক হওয়ার জন্য পশু ক্রয় করেন এবং নামাজের পর পর তা জবাই করে দেশের মত ঈদ আনন্দ উপভোগ করেন। হোটেল রেস্তোরাগুলোতে ও ছিল ঈদের আয়োজন। যারা ঈদের নামাজের পর পর কাজে চলে যেতে হয় তারা দেশে যোগাযোগ করে পরিবারের শান্তি আর আনন্দের বাণী শুনাই তাদের ঈদ আনন্দের এক মাত্র শান্তনা। বাকিরা দেশে কথা বলা, বাসায় অবসর সময় কাটানো আর ছুটির দিনগুলোর বিকাল বেলায় বাঙ্গালি অধ্যুসিত এলাকায় মিলিত হয়ে কোলাকুলি আর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে খুঁজে পান নিজ দেশের ঈদের আনন্দ।
এদিকে অনেকে আত্মীয়ের পরিবর্তে বিভিন্ন মার্কেট ও দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করে উপভোগ করেন বাঙ্গালির ঈদ আনন্দ। এবার এর সাথে নতুন মাত্রা যোগ করেন বাংলাদেশ সোশ্যাল ইউনিটি অব বাহরাইন ও সিলেট বিভাগীয় পরিষদ। ঈদের দিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে আয়োজন করেন এক ঈদ উৎসবের। স্থানীয় সালমাবাদ গাল্ফ এয়ার মাঠে বাহরাইন বাংলাদেশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ও ক্লাবে রাতভর চিত্রা বাউল শিল্পীর বাউল গানে মাতিয়েছে সবাইকে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ