ফ্লোরিডা স্টেটের মায়ামীতে ‘ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) কর্তৃক গ্রেফতারকৃত অবৈধ অভিবাসীদের ‘ডিটেনশন সেন্টারে’র অধিকাংশই মুসলমান হওয়া সত্বেও শূকরের মাংস এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশনের সংবাদে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কংগ্রেসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের বাজেট সম্পর্কিত কমিটির সদস্য কংগ্রেসওম্যান (নিউইয়র্ক-ডেমক্র্যাট) গ্রেস মেং।
অভিবাসন দফতরের দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রী চাদ ঔলফকে ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রদত্ত এক পত্রে কংগ্রেসওম্যান মেং উল্লেখ করেছেন, ‘মুসলমানদেরকে শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে এবং অন্যান্য খাবারও মানসম্মত নয়। এমনকি, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে হরদম এই ডিটেনশন সেন্টারে। কেন করা হচ্ছে এমন বেআইনী কাজ, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। এবং বন্দিরা যাতে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুভূতির পরিপূরক খাদ্য পায়, সে নিশ্চয়তাও দিতে হবে। এ অধিকার প্রতিটি মানুষের মতো ডিটেনশন সেন্টারের বন্দিদেরও রয়েছে’।
কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের প্রভাবশালী সদস্য গ্রেস মেং আরো উল্লেখ করেছেন, ‘করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা জাতি। তবে এটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে ডিটেনশন সেন্টারে আটকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করার সুযোগ কারোরই নেই। সকলের সম্মান এবং অধিকার সংহত রাখার দায়িত্ব প্রতিটি দফতরের। এ অবস্থায় মন্ত্রীকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আহবান জানাচ্ছি উদ্ভ’ত পরিস্থিতির অবসানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে’।
উল্লেখ্য যে, ঐ ডিটেনশন সেন্টারে মুসলমানদের সাথে এমন নির্দয় আচরণের নিন্দা, প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে হালাল খাদ্য পরিবেশনের দাবি উঠিয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরতরা। সিভিল রাইটস এবং আমেরিকান্স ফর ইমিগ্রেশন জাস্টিস নামক সংস্থার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমেও বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে ১৯ আগস্ট।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন