১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:৫৯

'রোহিঙ্গা সঙ্কটে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান, যা মিয়ানমারেই নিহিত'

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

'রোহিঙ্গা সঙ্কটে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান, যা মিয়ানমারেই নিহিত'

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান-যা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মধ্যেই নিহিত রয়েছে। আর এ প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সমস্যার মূল কারণগুলোকে চিহ্নিত করে তা নিষ্পত্তি, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি এবং দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মতো বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।

বুধবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশন উপলক্ষে ‘রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিতে চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ, কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্ক সম্মিলিতভাবে নিউইয়র্ক থেকে এ সভার আয়োজন করেন।

জাতিসংঘের সদস্য দেশ, জাতিসংঘ সদরদপ্তর ও এর সংস্থা, সিভিল সোসাইটি ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিপুল উপস্থিতি, তাদের বক্তব্য, পরামর্শ ও সংশ্লিষ্ট নানা উপস্থাপনার কারণে আলোচনাটি ভিন্ন মাত্রা পায়। এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া (আইআইএমএম)-এর প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান।

পর্বটির সঞ্চালক ছিলেন জাতিসংঘে কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রায়। আরও বক্তব্য রাখেন গাম্বিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের আইন-উপদেষ্টা হুসেইন থামাসি, সংঘাতকালে যৌন সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেন, নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশনারের পরিচালক রুভেন মেনিক দিওলা, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যকার মামলার গাম্বিয়া পক্ষের আইন উপদেষ্টা ড. পায়াম আখওয়ান, গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট এর নির্বাহী পরিচালক ড. সাইমন অ্যাডামস, গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের প্রেসিডেন্ট আকিলা রাধা কৃষ্ণান, আরাকান রোহিঙ্গা ইউনিয়নের মহাপরিচালক ড. ওয়াকার উদ্দিন। 

এছাড়া সৌদি আরব, তুরস্ক, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও ইন্দোনেশিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধিরাও বক্তব্য প্রদান করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত ও সর্বোচ্চ মানবিক উদারতা প্রদর্শনের মাধ্যমে সীমান্ত উন্মুক্ত করে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সুরক্ষা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।

অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারের ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সৃষ্ট বর্তমান অচলাবস্থার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি অবনতির বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সঙ্কটের বহুমাত্রিক প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন করে এবং তা আমলে নিয়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশের এই স্থায়ী প্রতিনিধি। 
 
এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণ খুঁজে বের করতে আসিয়ানসহ আঞ্চলিক দেশগুলোকে আরও জোরদার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। 

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর