৩০ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:২৮

করোনার ভ্যাকসিন বিতরণ ও প্রয়োগে আমেরিকায় অর্থ সংকটের আশঙ্কা!

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

করোনার ভ্যাকসিন বিতরণ ও প্রয়োগে আমেরিকায় অর্থ সংকটের আশঙ্কা!

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বিতরণে লাগবে ৩০ বিলিয়ন ডলার। এ অর্থ ব্যয় করতে হবে ফেডারেল প্রশাসনকে। কিন্তু কংগ্রেসে ঝুলে থাকা বিল পাশ না হওয়া পর্যন্ত এই অর্থ আসবে কোথায় থেকে, সেই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউএস সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা নিউইয়র্কের সিনেটর (ডেমোক্র্যাট) চাক শ্যুমার।

রবিবার এই সিনেটর বলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধেই এফডিএ (ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এবং সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) থেকে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি আসতে পারে। সে প্রত্যাশায় রয়েছে গোটা জাতি। কিন্তু অনুমোদনের পরই সর্বত্র তা বিতরণের জন্যে কোনো অর্থ বরাদ্দ এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। এজন্যে দরকার কংগ্রেসের অনুমোদন।

সিনেটর শ্যুমার ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, গতমাসে অর্থাৎ নির্বাচনের আগে প্রতিনিধি পরিষদে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল ‘হেলথ অ্যান্ড ইকনোমিক রিকভারি অমনিবাস ইমার্জেন্সি সল্যুশন’ অ্যাক্ট তথা হিরোজ অ্যাক্ট নামে পাশ হলেও রিপাবলিকানরা সিনেটে সেটির অনুমোদন দেয়নি। সেই বিলে ২৮ বিলিয়ন ডলারের বরাদ্দ রয়েছে ভ্যাকসিন বিতরণ খাতে। 

তিনি বলেন, নিউইয়র্কের স্টেট গভর্নরকে ভ্যাকসিন রিসিভ এবং তা জনসাধারণের মধ্যে বিতরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও অর্থ লাগবে। সেটিও নেই অন্য সকল স্টেটের মতোই। অর্থাৎ অবস্থা এমন পর্যায়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, প্রত্যাশিত ভ্যাকসিন তৈরির পরও তা মানুষের ব্যবহারের উপযোগী হবে না। মানুষ তা পাবে না। এমনকি হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসকসহ অপারেটররাও প্রয়োজনীয় অর্থ সংকটে সেই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবেন না।

কারণ, নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রার নিচে ফ্রিজে তা রাখতে হবে ব্যবহারের আগ পর্যন্ত। এ অর্থ প্রদানের দায়িত্ব হচ্ছে ফেডারেল সরকারের। সেটিরও ব্যবস্থা নেই এখন পর্যন্ত। এভাবে যদি উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রয়োগে বিলম্ব হয়, তাহলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে মনে করছেন নিউইয়র্কের এই সিনেটর।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর