করোনায় বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের সার্বিক কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকার প্রশংসা ও কোটি প্রবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানালেন ‘এনআরবি সিআইপি এসোসিয়েশন’র প্রেসিডেন্ট এবং এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মাহতাবুর রহমান নাসির।
৮ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে সর্বস্তরের প্রবাসীর সমাবেশে বিপুল করতালির মধ্যে দুবাইয়ের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী নাসির সকলের প্রতি আহবান জানান, বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের জন্য। এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, করোনাকালেও প্রবাসীরা ২৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর ফলে গত অর্থ বছর বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
নিউইয়র্ক সিটিতে লাগোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ম্যারিয়ট হোটেলের বলরুমে ‘মিট এ্যান্ড গ্রিট’ শীর্ষক এই মিলনমেলায় মাহতাবুর রহমান নাসির আরও বলেন, মাতৃভূমিতে নিরাপদ-বিনিয়োগের অন্যতম একটি অবলম্বন হচ্ছে ‘ইনভেস্টমেন্ট বন্ড’। এই খাতে ইতিপূর্বে প্রবাসীরা দুই বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন। কিন্তু গত অর্থ বছরে সেই ‘ইনভেস্টমেন্ট বন্ড’র পরিমাণ সীমিত করা হয়েছে। একজন প্রবাসী সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার বন্ড ক্রয় করতে পারবেন। এরফলে অনেকেই হতাশ হয়েছেন। আমরা বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি এক কোটি থেকে ৫ কোটি একটি ধাপ, ৫ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত আরেকটি ধাপ এবং ১০ কোটি টাকা থেকে যত বেশি সম্ভব- আরেকটি ধাপ রাখার জন্যে।
বাণিজ্যিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসীদেরকে প্রতি বছর ‘এনআরবি সিআইপি’ মর্যাদা দেয়া হয় অর্থাৎ তারা অনেক বেশি বিনিয়োগ করেন অথবা অধিক পরিমাণের রেমিট্যান্স পাঠান। বিশ্বের ৩২ দেশের ১৫২ জন প্রবাসীকে এ যাবত ‘এনআরবি সিআইপি’র মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তাদের সমন্বয়েই গঠিত এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহতাবুর রহমান নাসির আরও বলেন, প্রবাসীরা এখনও দেশে গিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে আগ্রহীরা আন্তরিকতাপূর্ণ সহায়তা অনেক সময়েই পাচ্ছেন না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রেমিট্যান্সের বিপরীতে শতকরা ৫ টাকা হারে বোনাসের দাবি রয়েছে। সে স্থলে মাত্র শতকরা দুই টাকা দেয়া হচ্ছে। ৫ টাকা করে দেয়া হলে বৈধপথে রেমিট্যান্সের মাত্রা রাতারাতি দ্বিগুণ হবে-তা আশা করা যায় অনায়াসে।
সমাবেশ শেষে করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাত এবং আক্রান্তদের আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রবাসের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারিরা ছাড়াও ছিলেন আই-গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ, ফোবানার চেয়ারম্যান জাকারিয়া চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বাবলা, বিশিষ্ট শিল্পপতি জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান এম আজিজ, মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ, শাহনেওয়াজ, আহসান হাবিব, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সেক্রেটারি মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, রানু নেওয়াজ প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা