জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, মহীয়সী নারী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কেক কাটা, দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করে দূতাবাস।
সভায় বক্তারা বঙ্গমাতার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বাঙালির সব লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে, তার প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অপরিসীম প্রেরণার উৎস ছিলেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর কারাবাস জীবনে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন। বঙ্গমাতা তাদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাতেন। তিনি ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মহীয়সী নারী। আগরতলা যড়যন্ত্র মামলায় প্যারোলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তি নিয়ে একটি কুচক্রীমহল বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল, তখন প্যারোলে মুক্তির বিপক্ষে বঙ্গমাতার দৃঢ় অবস্থান বাঙালির মুক্তি সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করেছিল, যা বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গমাতার অপরিসীম আত্মত্যাগ ও আদর্শের কারণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সকল কাজের প্রেরণার উৎসই ছিলেন না, একই সঙ্গে তিনি তার সন্তানদেরও যথাযথভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভাবধারায় গড়ে তুলেছেন। তিনি একজন আদর্শ মা হিসেবে তার সন্তানদেরও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা ও কারিগর হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। রাষ্ট্রদূত ঘাতকের বুলেটে বঙ্গমাতাসহ নিহত সকল শহীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং তাদের আত্মার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ ঘাতকের হাতে নিহত তার পরিবারের সকল সদদ্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর বঙ্গমাতার জীবনের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া উপস্থিত সকলকে বাংলাদেশি খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ