বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা পত্রিকা ‘স্বদেশ বার্তা’র প্রতিষ্ঠাতা নূরুল আজাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর)। নূরুল আজাদ ২০১৬ সালের এই দিনে পরলোক গমন করেন। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঙালি কমিউনিটির প্রিয় মুখ।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের জন্মস্থানের মানুষের আয়োজনে স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘নূরুল আজাদ কলেজ’, মনপুরা বাতাবাড়িয়া জাফর আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও ১৩৭ নম্বর বাতাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হবে। এছাড়া ‘স্বদেশ বার্তা' পরিবার গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছে।
নূরুল আজাদের জ্যেষ্ঠপুত্র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ বাবার স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেন, ‘আমার বাবা সব সময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আজীবন বুকের মাঝে ধারণ করেছেন এবং মাতৃভূমির জন্য সারাজীবন সাধ্যমতো কাজ করে গেছেন।’
তিনি আরও বলেন, বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বাংলাদেশে ও অস্ট্রেলিয়ায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া তিনি তার বাবার জন্য সবার নিকট দোয়া চেয়ে অনুরোধ করেছেন।
নূরুল আজাদের জীবন ও কর্ম
চাঁদপুরের কচুয়ায় জন্ম নেওয়া নূরুল আজাদ অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমিয়ে শুরু করেছিলেন রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। যাত্রা শুরু করার পর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেছেন শীর্ষ পর্যায়ে। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের পরে তিনি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া’-কে সুসংগঠিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম তার নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মেলা যাত্রা শুরু করে। প্রতি বছর বাংলাদেশের বিভিন্ন গুণী শিল্পীদের নিয়ে তিনি এ মেলা উদযাপন করতেন। খেলাধুলার প্রতি ছিল তার অন্য রকম ভালোবাসা। নিজে অংশগ্রহণ করে পরবর্তী সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রতি বছর কৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, যা বর্তমানে ‘নূরুল আজাদ গোল্ডকাপ’ নামে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলা ভাষার প্রথম পত্রিকা ‘স্বদেশ বার্তা’ প্রকাশ করেন তিনি। ‘কচুয়া ফাউন্ডেশন ঢাকা’ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষকও তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই