বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের তরুণদের আয়োজনে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাঙ্গালীর হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িকতার বড় উদাহরণ সনাতন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। রবিবার স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় পূজার আয়োজনের সর্বশেষ তথ্য জানাতে সম্মিলিত সভার আয়োজন করে বার্লিনের দুই বাংলার যৌথ সংগঠন ‘সনাতনী পূজা সংস্কৃতি’।
সভায় বার্লিনে দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ আর জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এমনই বিশ্বাস নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মণ্ডপে মণ্ডপে পুরোদমে দুর্গা পূজার প্রস্তুতি চলছে। আয়োজকরা জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মন্দির প্রাঙ্গণে আগত ভক্তবৃন্দের মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় নিয়ম মেনে পূজা উদযাপন করা হবে।
এবার ১১ অক্টোবর হতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গা পূজা শুরু হবে। এবার মা দুর্গার আগমন ঘটবে ঘোড়ায় চড়ে জানান সংগঠনের অন্যতম আরেক সদস্য। আগামী ১১ থেকে ১৫ অক্টোবর ২০২১ দুই বাংলার তরুণদের উদ্যোগে আয়োজিত সার্বজনীন এই দুর্গা পূজার সার্বিক অগ্রগতি ও করনীয় নানা বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়। সেই সাথে আগামী ২০ অক্টোবরে লক্ষ্মী পূজার আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়। সভায় সার্বজনীন দুর্গাপূজাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গৃহীত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের আয়োজকবৃন্দ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দুই বাংলার অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যবাহী সার্বজনীন এই পূজাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য অনুরোধ জানান। চারদিন ব্যাপী এবারের পূজায় ষষ্ঠীর দিন থেকেই থাকছে দেবী মায়ের ভক্তি ও আরাধনা, অঞ্জলি গ্রহণ ও বিহিত পূজা। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দুই বাংলার বিভিন্ন শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনমাতানো নাচ-গান, কবিতা, সিঁদুর খেলা, সম্মিলিত নৃত্যসহ বিভিন্ন আচারি অনুষ্ঠান। এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য থাকবে প্রসাদসহ মধ্যাহ্ন ও নৈশ ভোজের আয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর