কবি গুরু রবীন্দ্রনাথের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিডনীর অন্যতম নারী সংগঠন আমাদের কথা “হে নতুন, দেখা দিক আর বার’ শিরোনামে রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব পালন করে। গুরুদেবকে উৎসর্গ করেই নাচ, গান, কবিতা, আলোচনা সভার আসর বসে।
শনিবার সিডনির গ্লেনফিল্ড কমিউনিটি হলে সংগঠনের শিল্পীদের অংশ গ্রহণে বিকেল ৫ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত দলীয় ও একক সংগীত, কবিতা এবং নৃত্য পরিবেশিত হয়।
পূরবী পারমিতা বোসের পরিচালনা এবং মঞ্জুশ্রী মিতার উপস্থাপনায় সংগীত পরিবেশন করেন নিলুফা ইয়াসমীন, আয়শা কলি, বাঁধন, সূবর্না তালুকদার, পেট্রেসিয়া ডিয়াজ মেনডিজ, ফাইজা কালাম রুবা, মারিয়া মুন, প্রিয়াংকা চৌধুরী, পৃথিবী তাজওয়ার, মুনতাহা মুন। নৃত্য পরিবেশন করেন আরিও, প্রজাপতি, কুমকুম, নবনীতা, রাপ্তী ও মৌসুমী সাহা। কবিতায় ছিলেন মুনা মোস্তফা ও সাইদা শাহরীন রলি। যন্ত্রে সহযোগিতায় ছিলেন নামিদ ফারহান, এলেন জোসেফ ও সুহৃদ সোহান। শব্দ নিয়ন্ত্রন ইভেনেক্স। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন আবদূল্লাহ আল মামুন ও মইনুল হাসান সুমন।
রবীন্দ্র জয়ন্তীর এই উৎসবে রবীন্দ্র প্রেমী, স্থানীয় বাংলাদেশী কাউন্সিলর, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচক ও অতিথিরা তাদের সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বলেন, রবিঠাকুর বাঙালির মানসপটে সদাই বিরাজমান। বাঙালির জীবনের যত ভাবনা, বৈচিত্র্য আছে, তার পুরোটাই লেখনী, সুর আর কাব্যে তুলে ধরেছেন কবিগুরু। তার সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, জীবনদর্শন, মানবতা, ভাবনা-সবকিছুই সত্যিকারের বাঙালি হতে অনুপ্রেরণা দেয়।
বক্তারা আরও বলেন, সারা বিশ্বে বাঙ্গালীকে পরিচিত করেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কখনও তিনি প্রেমের কবি, কখনও অসম্প্রদায়িক কবি, আবার কখনও মানবতার কবি হিসেবে তিনি বাঙ্গালীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্যের শেকড় চিন্তা করা যায় না। মানবতার প্রাণ শক্তি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে আমরা লালন করবো ধারণ করবো।
অনুষ্ঠানের মঞ্চটি রবীন্দ্র বলয়াবৃত এর আদলে সাজানো ছিল। পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গনে ছিল রবীন্দ্র কর্নার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন