২৪ মে, ২০২৩ ১১:৫২

ওয়াশিংটনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

ওয়াশিংটনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ছবি-বাংলাদেশ প্রতিদিন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে মহান স্বাধীনতার স্থপতি এবং গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ দূতাবাস জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদানকে স্মরণ করে এক কর্মসূচি পালন করে।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার এবং কাউন্সেলর (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) আরিফা রহমান রুমা।

এরপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসামান্য অবদান তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং স্বাধীনতা অর্জন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

২৩ মে বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় দিন হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য তার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি সবসময় দেশ-বিদেশে শান্তিকামী জনগণকে সমর্থন করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত ইমরান বলেন, বিশ্ব শান্তি ও স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদান করে।

মিনিস্টার (ইকনোমিক) মো. মেহেদি হাসানও আলোচনায় অংশ নেন এবং স্বাধীনতা অর্জন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের ওপর আলোকপাত করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহিদ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। কর্মসূচি পরিচালনা করেন হেড অব চ্যান্সারি ও কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) মো. মনিরুজ্জামান।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর