সোমবার, ৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিঙ্গেল ছেলেদের চেনার উপায়

রাফিউজ্জামান সিফাত

সিঙ্গেল ছেলেদের চেনার উপায়

মানবতাবাদী ফেসবুক পোস্ট : পয়লা ফাল্গুন, চৌদ্দ ফেব্রুয়ারি কিংবা যে কোনো ছুটির দিনগুলোতে সিঙ্গেলদের ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে শান্তি আর শান্তি। জীবনে কোনোদিন গাছ না লাগানো দূরের কথা গাছে পানি পর্যন্ত না দিয়েও এই দিনে তারা নিজেদের বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগে যায়। ‘একজনের জন্য নয়, প্রেম হোক মানবতার প্রতি’ এরূপ দ্বিধা মিশ্রিত বাণীতে বিশ্বাস স্থাপন করলেও নারী পুরুষের প্রেমে তারা একেবারেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। এসব দিনে নারী পুরুষের প্রেমের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব জানিয়ে জীবনে সিঙ্গেল থাকার উপকারিতা সম্বন্ধে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা হয়। সিঙ্গেলরা সারা দিন এসব পোস্ট খুঁজে খুঁজে লাইক দিয়ে জানায়, পাশে আছি। 

 

চ্যাটবক্স : সিঙ্গেলদের চ্যাটবক্স জুড়ে থাকে এক আকাশ হাহাকার। গণহারে হাই, হ্যালো মেসেজ পাঠিয়ে উত্তরের আশায় কেটে যায় দিবস-রজনী। কখনো ভুলে কেউ ফিরতি মেসেজে হ্যালো কিংবা ওয়েব সাইন পাঠালে সিঙ্গেলরা আনন্দে দিশাহারা হয়ে এলাকার চা দোকানের মামা থেকে শুরু করে বাসার কাজের বুয়াকে পর্যন্ত ট্রিট দিতে রাজি হয়ে যায়।  

অফুরন্ত সময় : সিঙ্গেলদের হাতে থাকে অঢেল সময়। কাঁচাবাজার, লন্ড্রির কাপড়, বিদ্যুৎ, গ্যাসের বিল ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে জমা দিতে তারা বিরক্ত হয় না। বন্ধুদের যে কোনো আড্ডায় সবার আগে তারা উপস্থিত হয়। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের নাচানাচিতে তারা থাকে অগ্রভাগে।    

 

হরেক রঙের শখ : কোনো এক চোর প্রেমিক একদা বলেছিল, ‘গিটার, ক্যামেরা আর বাইক, না থাকলে লাগবে লাইক’ প্রেমের পূর্বশর্ত। প্রেমের প্রস্তুতি হিসেবে সিঙ্গেলদের এই সময়ে গিটার হাতে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। অনেকেই ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে পরিচয় দেয় মডেল ফটোগ্রাফার হিসেবে। বাইক চালিয়ে ফটোগ্রাফি তাদের প্যাশন। যদি এসব না থাকে তাহলে লাগবে ফেসবুকে হাজার হাজার লাইক। তাই তারা ফেসবুকে কৈশোর, যৌবন সবই ঢেলে দেয়।

 

যে কোনো সমিতিতে যোগদান : সিঙ্গেল অবস্থায় মাথায় মহল্লার যে কোনো সভা-সমিতি বানানোর ভূত চাপে। চিরকুমার সংঘ, কেবল গাছকেই ভালোবাসুন, কেউ পাবে কেউ পাবে না তা হবে না- এই টাইপের নানা ধরনের সমিতি এই সময়েই তৈরি হয়। রীতিমতো লিস্ট বানিয়ে চলে সদস্য গ্রহণ। সদস্যদের অধিকাংশই হয় ব্যর্থ প্রেমিক।

 

সর্বশেষ খবর