সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা
পাঠকের লেখা

সৌজন্য কপি চাহিয়া...

সৌজন্য কপি চাহিয়া...

সৌজন্য কপি মানে লেখকদের কাছে ফ্রি বই চাওয়া। ইচ্ছাকৃত বই না দিলে অন্য ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিংও করেন কেউ কেউ। কেউ আবার লেখকের সৌজন্য সাক্ষাতের চেয়ে সৌজন্য কপি পেলেই খুশি। এমনকি তারা লম্বা করে হাত পেতে বসে।

অনেকে শরম ত্যাগ করে সৌজন্য কপি চেয়ে বসেন। চাইতে তো আর টাকা-পয়সা লাগে না। ফ্রিতে বই পেলে পড়ার আগ্রহ কমে যায়। তাই মাথা থেকে সৌজন্য কপির চিন্তা একদম ঝেরে ফেলুন। সৌজন্য কপিকেও না বলুন। বইমেলায় লেখকের হাতে হাত রেখে কথা দিন। কখনো সৌজন্য কপি চেয়ে তাকে লজ্জা দেবেন না।

যারা সৌজন্য কপি চেয়ে বসে তাদের বলি, আগে মেলায় আসেন, চায়ের আড্ডা দিই। হয়তো সৌজন্য কপি নামে কোনো প্রকাশনী থাকলে তারা সৌজন্য কপি দিতে পারে। এ নিয়ে কোনো টেনশন করতে হবে না। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই, কেউ কেউ নিজেকে পাঠক বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তাদের অনেকেই লেখা না পড়েই লাইক বা কমেন্ট করেন। মহল্লার পাঠকদের বলি, সৌজন্য কপি ডটকম পেলে সেখানে গিয়ে সৌজন্য কপি চেয়ে আসেন। দ্রুত অর্ডার করুন। কোনো এক দিন তারা সৌজন্য কপি হাতে হাতে পৌঁছে দিতেও পারে। এবার স্ত্রীর জন্য অনেক সাহস করে বই লিখতে হয়েছে। মেলায় সেসব বেরও হবে হবে করছে। কিন্তু শ্যালিকাদের কাছে হার মেনেছি এরই মধ্যে। তারা আলাদা ধরনের পাঠক। সৌজন্য কপিতে শ্যালিকাদের পড়ার  টেবিল ভরা। যদিও তাদের পড়ার সময় হয়নি। এক দিন আমার স্ত্রী হঠাৎ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠল। কারণটা তাকে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। সে গলার আওয়াজ বাড়িয়ে বলল, তোমার বোকামির জন্যই আমাকে চেঁচামেচি করতে হয়। তাই তো বলি, বইয়ের টাকা কোথায় যায়? মেকাপ কেনা ভীষণ দায়!

 

লেখা : শফিক শাহরিয়ার

কনইল, নওগাঁ

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর