আমার এক ছোট ভাই বলল, আমি গবেষণা করে দেখলাম ভাই, মানুষ মাত্রই আরামপ্রিয়। নইলে এত কষ্ট করে ঘর কেন বানাবে? আমি বললাম, ঘর বানানোর সঙ্গে আরামের কী সম্পর্ক? ছোট ভাই বলল, এরকম সাধারণ একটা বিষয়ও বুঝতে পারছেন না? আরে ঘর আছে বলেই তো মানুষ খাট পাততে পারছে। আর খাট পাততে পারছে বলেই তো ঘুমাতে পারছে। আপনি চিন্তা করেন, যদি মানুষের ঘর না থাকত, যদি খাট বা বিছানা পাততে না পারত, তাহলে ঘুমের পেছনে মানুষকে এত এত সময় ব্যয় করতে হতো? আমি বললাম, তোর যে জ্ঞান-বুদ্ধি কম, সেটা তোর কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছে। আরে বোকা, ঘুমাতে খাট আর বিছানা লাগে তোকে কে বলেছে? ঘোড়ার কি খাট আছে? বিছানা আছে? ঘোড়া কিন্তু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘুমায়। এগুলো অভ্যাসের বিষয়রে পাগলা, অভ্যাসের বিষয়। এবার পাশ থেকে একজন বলে উঠল- একদম ঠিক বলিছেন। বিষয়টা আসলেই অভ্যাসের। এই যেমন ধরেন অভ্যাস করছিলাম বইলা-ই তো আজকা আমি হাঁটতে হাঁটতে ঘুমাইতে পারি। যখন অভ্যাস ছিল না তখন অবশ্য হাঁটতে হাঁটতে ঘুমাইতে গিয়ে কারেন্টের খাম্বার সঙ্গে বাড়ি খাইতাম। আমার এক প্রতিবেশী সেদিন ঘরে ঘুমানোর ব্যাপারে খুব সাবধানী একটা বিষয় জানালনে। কী মনে করে হঠাৎ বললেন, মনে করেন আপনার বউয়ের নাম সখিনা। কিন্তু ঘুমের মধ্যে জরিনা জরিনা বলে হালকা রব তুললেন। তখন যদি পাশে আপনার বউ থাকে, আপনি নিজেকে ফ্লোরে তো বটেই, বারান্দায়ও আবিষ্কার করতে পারেন। তাও নাক-মুখ ফোলা অবস্থায়। আমি বললাম, ঠিকই বলেছেন, মশা কামড়ালে তো নাক-মুখ ফুলবেই। প্রতিবেশী বললেন, নাক-মুখ শুধু মশা কামড়ালেই ফোলে না, কিল-ঘুষির বদলৌতেও ফুলতে পারে। প্রথম প্রথম কথার কিছুই বুঝতে না পারলেও কিল-ঘুষির কথা উঠায় বিষয়টা অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পারলাম। আমার এক বড় ভাই বললেন, ঘুম আর ঘরের কথা যেহেতু এলো, আমি মনে করি ঘরটা হওয়া উচিত ফুটবল খেলার মাঠের মতো। মানে ঘরে খাট, চেয়ার, টেবিল কিচ্ছু থাকবে না। আমি বললাম, এগুলো থাকলে সমস্যা কী? বড় ভাই বললেন, আমার ঘুমের মধ্যে ফুটবল খেলার অভ্যাস। একবার পেনাল্টি শট দিতে গিয়ে আলমারি ফেলে দিয়েছিলাম। এবার বোঝ তাহলে কী সমস্যা। আমার এক ভাবি বললেন, ঘরে ফিরে আমরা যেমন জুতা, গয়না ইত্যাদি খুলে রাখি, তেমনি কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুলে রাখতে পারলে খুব সুবিধা হতো। বিশেষ করে কান জোড়া যদি খুলে রাখতে পারতাম! এমনিতে খুলে না রাখি, ঘুমানোর আগে যদি খুলে রাখতে পারতাম, তাহলে খুব ভালো হতো। আমি বললাম, কী ধরনের ভালো হতো? ভাবি বললেন, তাহলে বিষয়টা ভেঙেই বলি। যদি কান জোড়া খুলে রাখতে পারতাম, তাহলে ঘুমাতে সমস্যা হতো না আরকি। কানও নেই, শব্দও নেই। না, মানে আপনার ভাই হেভি নাক ডাকে তো! আমি বললাম, তাহলে আপনার কান খুলে রাখবেন কেন? দেখেন না ভাইয়ের নাম খুলে রাখা যায় কি না।
শিরোনাম
- কান্নার শব্দে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হলো ২ দিনের নবজাতক
- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৫ ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
- ঢাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের আরও ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
- মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২০
- পরিবারসহ কাজী জাফরের আয়কর নথি সিআইডিকে দেওয়ার নির্দেশ
- ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৬৪৯ জন
- চীনে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ জাপানের
- এমবিবিএস ডাক্তারের টেবিলের ড্রয়ারে মিলল ইয়াবা
- সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
- লালমনিরহাটে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ
- খুলনার নতুন জেলা প্রশাসক জামশেদ খোন্দকারের যোগদান
- শিক্ষকের শূন্যপদের চাহিদা চেয়ে এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি
- মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
- লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের সংগঠন ‘প্রেস ফাইভ’-এর আত্মপ্রকাশ
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৩৯৫ মামলা
- পাচারের অভিযোগ, ভারতীয় নাগরিকদের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করল ইরান
- ছাত্রশক্তির ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা, কে কোন পদে লড়ছেন
- মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে ১২ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান
কাজ ও ঘুম বিষয়ক
আমার ঘুমের মধ্যে ফুটবল খেলার অভ্যাস। একবার পেনাল্টি শট দিতে গিয়ে আলমারি ফেলে দিয়েছিলাম...
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন