রাজধানীতে করোনায় মৃত রোগীদের পাশে দাঁড়িয়েছে আল রশীদ ফাউন্ডেশন নামে একটি সে¦চ্ছাসেবী সংগঠন। তারা করোনায় মৃত ব্যক্তির লাশ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিবহনের ব্যবস্থা করছে। আস্থা তৈরি করেছে সাধারণ মানুষের কাছে। অনেকে তাদের এমন সহযোগিতা পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে নাম-ঠিকানা জানালে স্বেচ্ছাসেবকরা ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দ্রুত সময়ে গন্তব্য পৌঁছে যাবেন। মৃতের স্বজনদের ইচ্ছানুসারে লাশ কবরস্থানে কিংবা কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন তারা। আর স্বজনরা চাইলে বিনামূল্যে লাশ দাফন-কাফনেরও ব্যবস্থা করবে সংস্থাটি। আপাতত ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে লাশ পরিবহনের সুযোগ রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। আগামীতে বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরে সম্প্রসারণ করা হবে বলে জানান তারা। করোনা মহামারীকালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী রোগীদের লাশ পরিবহন ও দাফন-কাফনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপ্রাপ্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি আল রশীদ ফাউন্ডেশন। অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান হলো- আল মারকাজুল ইসলাম বাংলাদেশ ও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
রাজধানীতে প্রতিদিন যত করোনা রোগী মারা যান তার অধিকাংশই এ তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবহন ও দাফন-কাফন হয়ে থাকে। আল রশীদ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, করোনা মহামারীকালে স্বজনরা আক্রান্ত ও মৃত্যুর অজানা আশঙ্কায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ঘনিষ্ঠ স্বজনের লাশের সামনে আসত না। অনেকে অজানা আতঙ্কে ভুগতেন। ফলে দাফন-কাফনেও ভয় পেত। তখন থেকে মৃতদেহ পরিবহন ও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কাজ শুরু করেন তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা।
প্রথমে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে লাশ পরিবহন ও দাফন শুরু করেন তারা। তিনি আরও জানান, গত বছরের মে মাসে যাত্রা শুরু করে চলতি বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত তাদের স্বেচ্ছাসেবকরা ২ হাজার ৫৫০টি লাশ পরিবহন ও দাফন-কাফন করেছে। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন করোনায় যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন তাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক লাশ পরিবহন ও দাফনের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এসএমএসের মাধ্যমে তাদের জানানো হয়। খবর পেয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা লাশ পরিবহন ও দাফনের জন্য ছুটে যান।