শিরোনাম
শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

অনাথ শিশুদের আশার আলো ‘বাংলাহোপ’

শামীম কাদির, জয়পুরহাট

অনাথ শিশুদের আশার আলো ‘বাংলাহোপ’

অনাথ ও অসহায় শিশুদের আলোর পথ দেখাচ্ছে এতিমখানা ‘বাংলাহোপ’। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই ব্রত নিয়ে ২০০৪ সালে এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন আমেরিকান নিঃসন্তান দম্পতি ডেভিড এল ওয়েড এবং বেভারলি জে ওয়েড। তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে ব্যতিক্রমী এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের সুবিধাবঞ্চিত অনাথ এবং অসহায় শিশুদের সহায় হিসেবে কাজ করছে। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে হাজরাপুর গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাহোপ এতিমখানা। অনাথ ও অসহায় শিশুদের লালন-পালনের পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।  প্রায় ১৪ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা বাংলাহোপ এতিমখানার ৪ একর জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে চিলড্রেন হোমসহ বিভিন্ন ভবন। যেখানে শূন্য থেকে বিভিন্ন বয়সের ১৬১ জন অনাথ শিশু জীবনযাপনের পাশাপাশি নিয়মিত শিক্ষা গ্রহণ করছে। এতিমখানার অধিকাংশ শিশুই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। ছোট শিশুদের লালন-পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৬ জন মাকে। এতিমখানার শিশুদের নিয়ম মাফিক খাবার, ঘুম এবং খেলাধুলার পাশাপাশি শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষকসহ পুরো এতিমখানায় রয়েছেন ৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আশ্রয়ের পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা পেয়ে ভীষণ খুশি প্রতিষ্ঠানের অনাথ শিশুরা। এতিম শিশুদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব পেয়ে খুশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৬ জন মা। তাদের মধ্যে শান্তি কিসকু, বন্দনা বৈরাগী, নমিতা ও অর্চনা বলেন, ‘ছোট ছোট শিশুকে পরম আদরে তারা দেখাশোনা করেন। শিশুরা যে এতিম, মায়ের মমতায় তা তারা বুঝতে পারে না। আমাদেরও ভালো লাগে ছোট শিশুদের আদর যত্ন করার দায়িত্ব পেয়ে। এতিমখানার স্পন্সর পরিচালক পনুয়েল বাড়ৈই বলেন, বিদেশি দাতাদের আর্থিক সহযোগিতা এই এতিমখানা পরিচালিত হচ্ছে। এ জন্য তিনি শিশুদের জীবন-বৃত্তান্ত তুলে ওয়েবসাইটে দাতাদের অবহিত করেন। হৃদয়বান বিদেশি দাতারা ওয়েবসাইটে সবকিছু জেনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আর্থিক সহযোগিতা করেন। পরবর্তীতে শিশুদের অগ্রগতি সম্পর্কেও দাতাদের জানানো হয়।’

সর্বশেষ খবর