শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওমানে কৃষিতে সফল বাংলাদেশিরা

এক কৃষক বলেন, আমরা সব ধরনের সবজি উৎপাদন করি। ওমানের প্রায় ৮০ ভাগ বাজার আমাদের দখলে। উৎপাদন আরও বাড়লে শতভাগ বাজারে আমাদের উৎপাদিত সবজি পাওয়া যাবে।

শনিবারের সকাল ডেস্ক

ওমানে কৃষিতে সফল বাংলাদেশিরা

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের কৃষিতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা দারুণ সাফল্য পেয়েছেন। সেখানকার কৃষির পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের হাতে। বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে নানা ধরনের সবজি ফলাচ্ছেন। বাংলাদেশের তরমুজ কিংবা আরবের বিখ্যাত ফল সাম্মামও চাষ করছেন তারা। যা প্রতিবেশী দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়। জানা যায়, ওমানের রাজধানী মাস্কাটের উপকণ্ঠে তিন শতাধিক বাংলাদেশি কৃষি উদ্যোক্তা কৃষিক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছেন। মরুভূমির জমিতে বাংলাদেশি কৃষি উদোক্তারা লাউ, কুমড়া, বেগুন, মুলা, শিম, টমেটো চাষ করছেন। এ ছাড়া নানা জাতের কাঁচামরিচ, পালং শাক, ক্যাপসিকাম কিংবা লেটুস পাতাও চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশি জাতের তরমুজ, আরবের বিখ্যাত সাম্মামেরও ভালো ফলন পেয়েছেন। মরুভূমিতে যেদিকে চোখ যায় কেবল সবুজ আর সবুজ। এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, বাংলাদেশিরা খুব দাপটের সঙ্গে এখানের কৃষিতে বিনিয়োগ করছে। দেশীয় সব ধরনের সবজি এখানে ফলানো হচ্ছে। এসব সবজির স্বাদ দেশের সবজির মতোই। আরেকজন প্রবাসী বলেন, আমরা দেশীয় সব ধরনের সবজির চাষ করছি। এ ছাড়া আরবের বিখ্যাত ফল সাম্মামেরও চাষ হচ্ছে। আমাদের উৎপাদিত সব সবজি কার্টনে প্যাকেট করে এখানকার সুপারশপগুলোতে ও আশপাশের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাবাসীরা কয়েক দশক আগে ওমানের গ্রামীণ অঞ্চলে ছোট পরিসরে কৃষিকাজ শুরু করেন। এখানকার একেকটি কৃষি খামারে ৩০-৪০ জন বাংলাদেশি কৃষকের কর্মসংস্থান হয়েছে। বর্তমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশী দেশ বাহরাইন, সৌদি ও দুবাইয়েও রপ্তানি করা হয়। এক কৃষক বলেন, আমরা সব ধরনের সবজি উৎপাদন করি। ওমানের প্রায় ৮০ ভাগ বাজার আমাদের দখলে। আমরা উৎপাদন আরও বাড়ালে শতভাগ বাজারে আমাদের উৎপাদিত সবজি পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর