বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি গত ১৪ বছরে দেশকে রূপান্তরিত করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশে। আজ বাংলাদেশের গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত। গার্মেন্ট থেকে শুরু করে অনেক ফ্যাক্টরির বেতন আজ বিকাশ এবং নগদে দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে করেছেন পদ্মা সেতু। জাতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন। আমরা যা স্বপ্নেও ভাবিনি আপনি তা করে দেখিয়েছেন। স্বপ্নের মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, সারা দেশে হাইওয়ে কানেকটিভিটি, পাওয়ার সেক্টরে উন্নতি সর্বোপরি বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে। ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল স্ট্যাটাসের কারণে আজ বাংলাদেশ মিডল ইনকাম দেশে পদার্পণ করেছে। বাঙালি আজ বিশ্বাস করে, ২০৪১ সালে আমরা উচ্চ আয়ের দেশে পদার্পণ করব ইনশাআল্লাহ। এসবই সম্ভব হয়েছে আপনার ১৪ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে। আপনি দুরূহ পথকে মসৃণ করে দিয়েছেন মাস্টারপ্ল্যান এবং শর্ট টাইম ও লং টাইম পলিসির কারণে। আপনার এই দীর্ঘ পথচলায় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পলিটিক্যাল স্ট্যাবিলিটি, যা আপনি সুরক্ষা দিয়ে আসছিলেন সবসময়। আর শেষে এলো কভিড প্যান্ডামিক, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। কভিডে আপনার একান্ত প্রচেষ্টায় সব দেশের প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে আপনার অ্যাডভান্স বিনিয়োগ করার কারণে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে দেশকে রক্ষা করা গেছে এবং মানুষের জীবন রক্ষা হয়েছে। যার কারণে জাতি আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বে বিপর্যয় চলছে। তারপর আবার গ্লোবাল পলিটিক্যাল ক্রাইসিস। এসব কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মুদ্রাস্ফীতি চলছে। এ ছাড়া এনার্জি ক্রাইসিসের কারণে অর্থনৈতিক উন্নতি ধরে রাখতে পারেনি। অনেক ধনী দেশেও বিপরীত হয়েছে। বাংলাদেশেও এর থাবা পড়েছে, তবু আমাদের গ্রোথ ছিল ঈর্ষণীয় পর্যায়ে। সবই সম্ভব হয়েছে আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের গুণে। ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নতির জন্য আপনার উদ্যোগগুলো প্রশংসনীয়। যেমন- ঢাকা এয়ারপোর্ট বৃদ্ধি করা, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, চিটাগং বন্দর বৃদ্ধি, পায়রাবন্দর, ১০০ ইকোনমিক জোন, পাওয়ার সেক্টর- এসব কিছুই দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বিদেশিদের আকৃষ্ট করছে। আমরা আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকার আপনি আর কারিগর আমরা। এ স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ থেকে আপনার সঙ্গে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। গোটা বিশ্বে আজ ইকোনমিক ক্রাইসিস ও গ্লোবাল জিও পলিটিক্যাল চেঞ্জ আসতে যাচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নতির কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর সব শক্তিশালী দেশের কাছে খুব গুরুত্ব বহন করছে। এমন সময় আমাদের দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আর যখনই নির্বাচন নিয়ে কথা হয় তখনই আমি বলি এ ধরনের অবস্থা মোকাবিলা করে যে নেতৃত্ব আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সে আর কেউ নন- অনেক কঠিন পরীক্ষায় পরীক্ষিত কমিটেড, দৃঢ়চেতা, অনেক ভিশনারি নেতা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিরোনাম
- মির্জা ফখরুলের সঙ্গে এমপিওভুক্ত শিক্ষক প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
- আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের চার্জ মওকুফ
- আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী স্ত্রী ভরণপোষণ চাইতে পারবেন না
- জোট গঠনের সিদ্ধান্ত, জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তাকাইচি
- লালমাইয়ে বাগমারা বাজারে বিএনপির লিফলেট বিতরণ
- অস্ট্রেলিয়ায় বিলাসবহুল হোটেলের পুলে কুমির
- ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের বিক্ষোভ
- "দাবি আদায়ে আবারও আন্দোলনের হুশিয়ারি"
- গাঁজাসহ ‘কালা হারুন’ গ্রেফতার
- পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজে আফগানিস্তানের বদলে জিম্বাবুয়ে
- জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বক্তব্য এনসিপি আংশিক কাট করেছে : সালাহউদ্দিন
- কানাডা কি সত্যিই হারিয়ে যাচ্ছে?
- ‘হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসের স্থপতি’ ইসরায়েলের ১৭ বিজ্ঞানীর তথ্য ফাঁস
- কানাডার টরেন্টোতে বাচনিকের যুগপূর্তি উৎসব ‘বাচনিক বৈভব’
- ভারতকে আবারও পরমাণু বোমার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান
- সৌদিতে হামলা মানেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা: নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির পথে রিয়াদ
- সপ্তাহের শেষে কমতে পারে গরম, সাগরে লঘুচাপের আভাস
- প্রথম হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান
- কারিনার সাথে দাম্পত্যে সুখী সাইফ, তবু অমৃতার স্মৃতিতে বারবার ফিরে যান
- হামাস নিরস্ত্র না হওয়া পর্যন্ত গাজা যুদ্ধ শেষ হবে না: নেতানিয়াহু