শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘আমাদের ব্যাকআপ প্লেয়ার নেই’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

‘আমাদের ব্যাকআপ প্লেয়ার নেই’

টাইগাররা অনেক দিন থেকেই ধারাবাহিকভাবে দাপুটে পারফরম করছে। একের পর এক সাফল্য বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দিনে দিনে উচ্চতর স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন দলে পারফরমারের সংখ্যা অনেক বেশি। এখন একবার কোনো ক্রিকেটার দল থেকে বাদ পড়ে গেলে তার ফিরে আসা কঠিন। কারণ পাইপলাইনেও অনেক ক্রিকেটার। কিন্তু গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ভিন্ন কথা বললেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। টাইগার দলপতি বলেন, ‘আমরা এখন প্রায়ই শুনি যে আমাদের ব্যাকআপ প্লেয়ার এখন অনেক। কিন্তু আমি ব্যাকআপ প্লেয়ার দেখি না। আমার চোখে ব্যাকআপ প্লেয়ার নেই। কারণ আপনি যদি সাকিবের সঙ্গে কাউকে রিপ্লেস করতে চান, প্লেয়ার নেই। তামিমের রিপ্লেস করতে গেলে কঠিন। তবে আমাদের আস্তে আস্তে ব্যাকআপ প্লেয়ার তৈরি হচ্ছে, একটু সময় লাগবে।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গিয়ে ইতিমধ্যেই দুই সেরা পেসার মোহাম্মদ শহীদ ও শফিউল ইসলাম ইনজুরিতে পড়েছেন। শহীদের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন রুবেল হোসেন আর শফিউলের জায়গায় নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য ঘোষিত ২২ সদস্যের প্রাথমিক দলে রাখা হয়েছে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে। শহীদ ১৫টি ও শফিউল ১৮ উইকেট শিকার করেছেন বিপিএলে। তাদের ইনজুরি বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘এই মোমেন্টে তাদের ইনজুরিগুলো অবশ্যই ইফেক্ট করে। বিশেষ করে যারা টপ ফর্মে আছে তাদের ইনজুরিগুলো অবশ্যই ইফেক্টিভ। মুস্তাফিজকে যদি দেখেন তাকে ইংল্যান্ড সিরিজে আমরা ইনজুরির কারণে পাইনি। কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে। আমরা হয়ত দুইটা টেস্টই জিততে পারতাম তাকে পেলে। হয়ত বা ওয়ানডে সিরিজটিও জিততে পারতাম। এই জায়গাগুলো অবশ্যই আমাদের বেস্ট প্লেয়ারগুলো ঠিক থাকা অবশ্যই জরুরি। তারপরও আমি বলব যে, মুস্তাফিজ এখনো ফিটের পথে। যদিও আমি জানি না পুরোপুরি কি অবস্থা, তবে পুরোপুরি বোলিং শুরু করেছে। আমার সঙ্গে কালকেও (বৃহস্পতিবার) কথা হয়েছে এখন মোটামুটি ভালো। এখনও কিছু সময় আছে। দেখা যাক।’

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন করে ওয়ানডে ও টি-২০ ও দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অস্ট্রেলিয়ায় দুই সপ্তাহের ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে টাইগাররা। দুই দলে আলাদা আলাদাভাবে সিডনি যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ইতিমধ্যে মুশফিকের নেতৃত্বে এক দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে একদিন আগেই। দলের বাকি সদস্যরা আজ যাচ্ছেন।

২০১৫ সালের বিশ্বকাপে একই কন্ডিশনে ইংল্যান্ডের মতো দলকে বিদায় করে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তখনো আসর শুরুর আগে ১৫ দিনের একটা অনুশীলন ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ। আর সেই অনুশীলন ক্যাম্পের জন্যই এসেছিল সাফল্য। এবার এই প্রস্তুতি ক্যাম্প নিয়ে আশাবাদী মাশরাফি, ‘২০১৫ সালের আগে ১৫ দিনের একটা ক্যাম্প হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। ওটা কিন্তু আমাদের কাজে দিয়েছে। অনুশীলন ম্যাচ একটাই কিন্তু আমরা হেরেছিলাম। তারপর শেষ বিশ্বকাপের কথা যদি বলেন আমরা চিটাগং ও খুলনায় ক্যাম্প করেছি। হয়ত কন্ডিশন ভিন্ন ছিল। আপনারা যদি দেখেন আমরা প্রথম রাউন্ডটা ভালো খেলেছি। দ্বিতীয় রাউন্ডেও ভালো করার সুযোগ ছিল না যে তা না। যাই হোক আমাদের জন্য এটা কাজ করেছে। এটাও কাজ করবে। যদি কন্ডিশন ভিন্ন। কাজ করবে।’

নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া পাশাপাশি হলেও দুই দেশের কন্ডিশনের মধ্যেও রয়েছে পার্থক্য। তাই অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে নিউজিল্যান্ডে অনুশীলন ক্যাম্পটা করলে ভালো হতো কিনা? মাশরাফি বলেন, ‘আমি যেটা শুনেছি নিউজিল্যান্ডে ওই সময়ে সুযোগ পাওয়া যায়নি। আমি নিজেও নিশ্চিত না। খেলার মধ্যে ছিলাম। তাই অস্ট্রেলিয়ায় করা হয়েছে। তবে উদ্যোগটা খুবই ভালো। অন্তত আমরা কাছাকাছি কোথাও চেষ্টা করছি। উদ্যোগটা খুবই ভালো।’ বাংলাদেশ দল দেশের মাটিতে দুর্দান্ত খেললেও নিউজিল্যান্ডে গিয়ে যে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে তা অকপটে স্বীকার করেছেন মাশরাফি। পাশাপাশি এ কথাও বলেছেন কন্ডিশন ভিন্ন হলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে পারলে ভালো ফলই আসবে।

সর্বশেষ খবর