রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফুটবলে চিরঞ্জীব মুন্না

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ফুটবলে চিরঞ্জীব মুন্না

ফুটবলে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলে মোনেম মুন্নার নাম কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এমন কিছু রেকর্ড গড়েছেন যা এখনো অন্য কারও পক্ষে ভাঙা সম্ভব হয়নি। ২০০৫ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি সবাইকে কাঁদিয়ে মুন্না না ফেরার দেশে চলে যান। আজ তার ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী। দেখতে দেখতে এক যুগ পার হয়ে গেল। নারায়ণগঞ্জে চির নিদ্রায় শায়িত তিনি। কিন্তু মুন্নাকে কেউ কি ভুলতে পেরেছেন? ভক্তদের মাঝে এখনো তিনি বেঁচে আছেন।  তার অবদান কখনো ভুলবার নয়। ১৯৮৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র। পরের বছর গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন। এখান থেকেই ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলে মুন্নার অভিষেক ঘটে। ১৯৮৭ সালে তিনি যোগ দেন দেশের জনপ্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনীতে। এখান থেকেই তারকার খ্যাতি পেয়ে যান। বনে যান দেশের সেরা ফুটবলার। ১৯৯০-৯১-৯২ সালে আবাহনী থেকে লিগ চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পান। ১৯৯৪ ও ১৯৯৫ সালে তার নেতৃত্বে আবাহনী টানা লিগ জিতে। অনেক ফুটবলারেরই একাধিক শিরোপা জেতার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু মুন্নাই একমাত্র ফুটবলার নেতৃত্ব দিয়ে দলকে টানা দুই লিগ জেতান। শুধু ঢাকা কেন কলকাতা লিগও মাতিয়েছেন। ১৯৯০ সালে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে নেমে কলকাতাবাসীর হৃদয় জয় করেন। লিগ ছাড়াও জিতেছেন আরও দুটি ট্রফি। বাংলাদেশের অনেক ফুটবলারই বিদেশি লিগ খেলেছেন। মুন্নার মতো সুনাম কুড়াতে পারেননি কেউ। তার মৃত্যুতে ইস্টবেঙ্গলের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ লাল দলে খেলে জেতেন প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপ। মুন্নার নেতৃত্বেই বিদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতি চ্যালেঞ্জ কাপে ফাইনালে স্বাগতিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ফুটবলকে মুন্না কতটা ভালোবাসতেন তার প্রমাণ মিলে অসুস্থ শরীর নিয়েও মাঠে আবাহনীর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালনে। এমনকি বিদেশ থেকে ভালো মানের খেলোয়াড় আনতে মুন্না উড়ে যেতেন। রক্ত মাংসে মিশে গিয়েছিল ফুটবল। কিন্তু তার বিনিময়ে তিনি কি পেলেন? স্ত্রী সুরভী, কন্যা ইউশরা আর পুত্র আজমানকে নিয়ে রায়ের বাজার ফ্ল্যাটে দিনযাপন করছে। কেমন আছে কিংবদন্তির পরিবার সেই খবর নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছেন না কেউ!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর