শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বিপিএল খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন আমলা

আসিফ ইকবাল, সিলেট থেকে

বিপিএল খেলার জন্য মুখিয়ে ছিলেন আমলা

শচীন টেন্ডুলকারের মতো ধ্রæপদী ব্যাটসম্যান নন। রিকি পন্টিংয়ের মতো আক্রমণাত্মক মেজাজের ক্রিকেটার ছিলেন না। কিংবা জ্যাক ক্যালিসের মতো অলরাউন্ডারও নন। তারপরও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ক্রিকেট বিশ্বে অন্যতম টেকনিক্যাল ক্রিকেটার হিসেবে আলাদা পরিচিতি ১২৪ টেস্টে ৯২৮২ রান, ১৮১ ওয়ানডেতে ৮১১৩ রান ও ৪৪ টি-২০ ম্যাচে ১২৭৭ রান করা হাশিম আমলার। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ক্রিকেটার  বঙ্গবন্ধু বিপিএল মাতাতে এখন সিলেটে। খেলবেন খুলনা টাইগার্সে। প্রোটিয়া সাবেক ক্রিকেটারের সরব উপস্থিতিতে নিঃসন্দেহে প্রাণের সঞ্চারণ ঘটবে বিপিএলে। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান গতকাল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে বলেন, বিপিএল খেলার জন্য মুখিয়েছিলেন। খুলনার প্রস্তাব পেয়েই উড়ে আসেন ৩৭ বছর বয়স্ক আমলা। 

২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক। ওই সফরে উদ্বোধনী জুটিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ ও নেইল ম্যাকেঞ্জি। ম্যাকেঞ্জি এখন আবার বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ। ওই সিরিজটির কথা ভীষণ মনে আছে আমলার। তবে প্রোটিয়া সাবেক অধিনায়ক দুটি সফরের কথা আলাদাভাবে বলেছেন, ‘দুটি টেস্টের কথা মনে আছে। বৃষ্টিতে ১০ দিনের মধ্যে ৯ দিনই ভেসে গিয়েছিল। ২০০৮ সালে এখানে আমার ওয়ানডে অভিষেক। সেবার ভালো কিছু স্মৃতিও আছে। টেস্টে স্মিথ ও ম্যাকেঞ্জি উদ্বোধনী জুটির বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল। তিনে ব্যাটিং করার কথা ছিল আমার। প্যাড পরে বসে থাকতে থাকতে ফোসকা পড়ে গিয়েছিল।’ বিপিএলের মাঝপথে খেলতে আসলেও স্মরণীয় করে রাখতে চান। এর আগে বেশ অনেকবার এসেছেন বাংলাদেশে। এখানকার ক্রিকেট সংস্কৃতিতে দারুণ মুগ্ধ আমলা, ‘বাংলাদেশ বরাবরই ভালো লাগে আমার। আগেও কয়েকবার এসেছি। এখানকার আবহ ভালো এবং ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি দুর্দান্ত। মাঠ সবসময়ই প্রাণবন্ত, উচ্ছ্বল।’ আইপিএল ও বিগ ব্যাসের মতো বড় না হলেও যথেষ্ট পরিচিত বিপিএল। আমলা টি-২০ টুর্নামেন্টে খেলতে সব সময় চেয়েছেন। কিন্তু সময় ও সুযোগের অভাবে পারেননি। এবার সময় ছিল বলেই বিপিএলে খেলতে উড়ে আসেন, ‘হাতে সময় ছিল। খূলনা টাইগার্সের প্রস্তাব পাওয়ার পর না করিনি। কারণ এখানে খেলার জন্য সবসময় মুখিয়েছিলাম। তাই প্রাপ্ত সুযোগটিকে এড়াতে পারিনি। আর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে বিপিএল অন্যতম।’ 

২০০৪ সালে শুরু। ব্যাট, প্যাড, গøাভস তুলে রাখেন ২০১৯ সালে। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ মিলিয়ে রান করেছেন ১৮৬৭২ রান এবং একটি ট্রিপল সেঞ্চুরিসহ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫৫টি। এমন ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্ত আমলা। মন ও শরীর খেলার জন্য তাগাদা দিলেও আমলা মনে করেন সঠিক সময়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপের পর কাছের মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করেই সরে দাঁড়িয়েছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ভালো সময় কাটিয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ যে এত সময় ধরে খেলতে পেরেছি।’

বিপিএলের পরিচিত মুখ রিলি রুশো, ফ্রাইলিঙ্ক। গত আসরে ডি ভিলিয়ার্স খেলেছেন। এবার ডি ভিলিয়ার্স নেই। এসেছেন হাশিম আমলা। মাঝপথে আসলেও মুশফিকুর রহিমের মতো পরিচিত ক্রিকেটার রয়েছেন বলে আসরে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে না বলেন, ‘১০ বছর ধরে আমরা পরস্পরের পরিচিত। মুশি অসাধারণ অধিনায়ক ও কিপার ব্যাটসম্যান। কিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে সে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি সময় ধরে খেলছে। আশা করি ওর সঙ্গে ভালো সময় কাটবে। সাকিব ও মাশরাফির বিপক্ষেও অনেকদিন খেলেছি।’

 

সর্বশেষ খবর