এক যুগ পর পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলবেন মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদ, তামিমরা। সফরের জন্য যে স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন নির্বাচক প্যানেল, সেখানে পাকিস্তানে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহ ও তামিমের। বাকিরা সবাই নতুন। সফরে সবাই নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন। কিন্তু বাশারের মতে, পাকিস্তান যে নিরাপত্তা দিবে, তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কোনো কারণ নেই। দলে নেই বাঁ হাতি কোনো স্পিনার। সৌম্য সরকারসহ পেসার ৬ জন। এত সংখ্যক পেসার নেওয়ার ব্যাখ্যায় বাশার বলেন, ‘পাকিস্তানের যে কোনো ভেন্যুর চেয়ে লাহোরের উইকেটে গতি ও বাউন্স বেশি। এজন্যই নেওয়া।’
গত কয়েক বছরে এবারই হয়তো প্রথম কোনো বাঁ হাতি স্পিনার ছাড়া সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। নিকট অতীতে দলের সাফল্যের মূল কারিগরই বাঁ হাতি স্পিনার। কখনো সাকিব আল হাসান, আবার কখনো তাইজুল ইসলাম অথবা নাজমুল ইসলাম অপুর বাঁ হাতি ঘূর্ণিতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। অথচ পাকিস্তান সফরের টি-২০ স্কোয়াডে নেই একজন বাঁ হাতি স্পিনারও। নির্বাচক প্যানেল সিরিজের জন্য চিন্তাও করেননি। দলে রয়েছেন একজন লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। অপ স্পিনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, মেহেদি হাসান ও আফিফ হোসেন। সাকিবের মানের কোনো বাঁ হাতি স্পিনার নেই বলে সুযোগ পাননি কেউ বলেন বাশার, ‘দলে অফ স্পিনার রয়েছেন বেশ কয়েকজন। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলের পারফরম্যান্স ভালো নয়। অপু নিয়মিত খেলেননি। আরাফাত সানিও ফর্মে নেই। তাই কোনো বাঁ হাতি স্পিনার নেওয়া হয়নি।’
পারিবারিক কারণে ভারত সফর করেননি তামিম। পাকিস্তান সফরে ফিরেছেন। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে দারুণ খেলে রান করেছেন ৩৯৬। একাদশে তিনি অটোমেটিক চয়েজ। তার সঙ্গে ব্যাট করার লড়াইয়ে থাকছেন লিটন ও নাঈম। দুজনেই রয়েছেন দারুণ ফর্মে। সিলেট থান্ডারের হয়ে ৩৭৯ রান করেন নাঈম। ভারত সফরে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। লিটন রাজশাহীকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন দারুণ ব্যাটিং করে। করেছেন ৪৫৫ রান। এমন হতে পারে তামিম ও নাঈম ওপেন করার পর লিটন ওয়ান ডাউনে খেলবেন। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ, আফিফ, মিথুনের ব্যাট করা প্রায় নিশ্চিত। এরা সবাই দারুণ সময় পার করেছেন বিপিএলে। তবে মিডল অর্ডারে মুশফিকের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পাবে দল। বাশার অবশ্য মনে করেন, দল এখন দারুণ ছন্দে রয়েছে। তাই ভালো করার সম্ভাবনা শতভাগ, ‘বিপিএলে সবাই ভালো পারফরম্যন্স করেছেন। সবাই রান করে ছন্দে রয়েছেন। এটা ঠিক মিডল অর্ডারে মুশফিকের অভাব বোধ হবে। তারপরও আমি মনে করি মাহমুদুল্লাহ, মিথুন, আফিফরা ভালো করবেন।’