বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

এবার ফুটবল জাগবে কি

‘ফুটবলে যে পচন ধরেছে তা সারানো কঠিন। তবে এককভাবে সভাপতিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কমিটির অন্য সদস্যদেরও দায়িত্ব ছিল। যাক, অতীতে যা হোক না কেন আমরা চাই ফুটবল জেগে উঠুক। বন্ধ হোক কাদা ছোড়াছুড়ি।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার ফুটবল জাগবে কি

কাজী সালাউদ্দিন আবারও বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জিতবেন না হারবেন তা সময় বলে দেবে। প্রশ্ন হচ্ছে তিনি চতুর্থবারের মতো সভাপতি হলে দেশের ফুটবল কতটা উপকৃত হবে। আবার নতুন কেউ সভাপতি হলে ফুটবল পাল্টে যাবে তাও ভাবাটা ঠিক হবে না। তবে সালাউদ্দিনকে ঘিরে সবাই আশায় ছিলেন ফুটবলের অগ্রগতির। তার মতো জ্ঞানী ফুটবল ব্যক্তিত্ব নতুনত্ব আনবেন প্রত্যাশা করাটা স্বাভাবিক। তিন মেয়াদে দায়িত্বে থেকে তিনি ফুটবলকে এমন কিছু দিতে পারেননি যা সন্তুষ্ট করার মতো। তার আমলে বাংলাদেশ একবার এসএ গেমসে সোনা জিতেছে। আর অনূর্ধ্ব-১৫ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অবশ্য মহিলা ফুটবলে অগ্রগতি ঘটেছে।

ফুটবলে যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেই জাতীয় দল চমক দেখাতে পারেনি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনাল খেলাটা স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। সালাউদ্দিন অবশ্য বড় চমক দেখিয়েছিলেন কোটি টাকার সুপারকাপ শুরু করে। এই টুর্নামেন্টে ফুটবল নতুনভাবে জেগে উঠতে শুরু করেছিল। অথচ মাত্র তিন আসর করেই শেষ।

ফুটবল বিশ্লেষক বলেছেন ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে সুপারকাপ প্রতি মৌসুমে আয়োজনের প্রয়োজন ছিল। ব্যর্থ বলেই সব দোষ সভাপতির এটাও আবার ঠিক নয়। তাহলে এত বড় কমিটি কেন? সালাউদ্দিন বিভিন্ন উপ-কমিটিও তৈরি করেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত তিন মেয়াদে সালাউদ্দিন হয়তো চেষ্টা করেছেন ফুটবল উন্নয়নে। তার অনেক ভুলের কারণে ফুটবল পড়ে আছে হতাশার জায়গায়। আগেও যে ফুটবলের মান গর্ব করার মতো ছিল তা বলা যাবে না। তবে সালাউদ্দিন বলেই প্রত্যাশাটা বেশি। নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ভালো কথা। এতে করে কেউ খুশি বা নাখোশ। তবে সালাউদ্দিনকে এখন ভাবতে হবে সভাপতি হলে অতীত ঝেড়ে ফেলে এগুতে হবে। এত গুণের মানুষ। বারবার ভুল আর মানবে না ক্রীড়াপ্রেমীরা। জাতীয় দলের একজন ফুটবলার বলেন, ‘সালাউদ্দিন ভাই আমাদের চাওয়া-পাওয়ার পূরণে চেষ্টা করেছেন। কোনো কিছুতেই না করেননি। এরপরও আমরা জাতিকে বড় কিছু উপহার দিতে পারিনি।’ জাতীয় দলের সাবেক এক কোচ বলেন, ‘ফুটবলে যে পচন ধরেছে তা সারানো কঠিন। তবে এককভাবে সভাপতিকে  দোষ দিয়ে লাভ নেই। কমিটির অন্য সদস্যদেরও দায়িত্ব ছিল। যাক, অতীতে যা হোক না কেন আমরা চাই ফুটবল জেগে উঠুক। বন্ধ হোক কাদা ছোড়াছুড়ি।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর