শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২০ ০০:০০ টা
নিলাম

আসিফের পদক কাঞ্চনের জার্সি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আসিফের পদক কাঞ্চনের জার্সি

খেলা নেই। করোনাভাইরাসে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে হাহাকার। ঘরবন্দী খেলোয়াড়রা। এমন কঠিন সময়েও দুস্থদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসছেন ক্রীড়াবিদরা। যদি তাদের সামান্য সাহায্য অসহায় মানুষের উপকারে আসে। শুধু দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে বসে নেই। চিকিৎসকদেরও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিচ্ছেন অনেক ক্রীড়াবিদ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ২০১৯ বিশ্বকাপে তার ইতিহাস গড়া ব্যাট নিলামে তুলেছেন। বিক্রিও হয়েছে ২০ লাখ টাকায়; যা দেওয়া হবে দুস্থদের।

মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ আশরাফুলও তাদের ব্যাট নিলামে তুলেছেন।

পিছিয়ে নেই ফুটবলাররাও। প্রয়াত তারকা ফুটবলার মোনেম মুন্নার নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে মিয়ানমারে চার জাতি টুর্নামেন্ট চ্যালেঞ্জ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সেই টুর্নামেন্টে তার ইতিহাস গড়া ২ নম্বর জার্সি নিলামে দিয়েছেন স্ত্রী ইয়াসমিন মোনেম। স্ট্রাইকার আলফাজ আহমেদের একমাত্র গোলে নেপালকে হারিয়ে ১৯৯৯ সালে সাফ গেমস ফুটবলে প্রথমবারের মতো সোনা জেতে বাংলাদেশ। আলফাজ যে ১০ নম্বর জার্সি পরে গোল করেন তা দুস্থদের সহায়তার জন্য নিলামে তুলেছেন।

তাদেরই পথ ধরে এবার এগিয়ে এলেন শুটার আসিফ হোসেন খান ও ফুটবলার রোকনুজ্জামান কাঞ্চন। ২০০২ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে সোনা জেতেন আসিফ। তারই সাফল্যে সেবার গেমসে ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া জাতীয় সংগীত বেজে ওঠে। ক্যারিয়ারে শ্রেষ্ঠ অর্জন সেই সোনার পদকই নিলামে তুলছেন দেশখ্যাত এই শুটার। গতকাল আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন, ‘কঠিন সময়ে বসে থাকি কীভাবে? আমার এ পদকের বিনিময়ে যে অর্থ আসবে তা পুরোটাই দেব দুস্থদের।’

বরাবর ফেবারিট থাকলেও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল ইতিহাসে বাংলাদেশ একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়। এর পেছনে বড় অবদান ছিল স্ট্রাইকার কাঞ্চনের। ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত এ টুর্নামেন্টে প্রতিটি ম্যাচেই কাঞ্চন দর্শকদের মন জয় করেন; যা কখনো ভোলার নয়। ১১ নম্বর জার্সি পরে গ্রুপে ভুটান ১, সেমিতে ভারতের বিপক্ষে ১ ও ফাইনালে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১ গোল করেন কাঞ্চন। যদিও টাইব্রেকারে বাংলাদেশ শিরোপা জেতে। কিন্তু অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন তিনি। সে ম্যাচে পরা ১১ নম্বর জার্সিই নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কাঞ্চন। বললেন, ‘যদি আমার জার্সি বিক্রির অর্থ অসহায় মানুষের উপকারে আসে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করব।’

সর্বশেষ খবর