ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। আশির দশকে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠায় বাফুফে বিদেশি রেফারি দিয়ে লিগ পরিচালনা করে। বিদেশি রেফারির প্রসঙ্গ উঠলে বাফুফে থেকে এখন বলা হয় দেশের মানসম্পন্ন রেফারি আছে। সেখানে বিদেশিদের এনে অর্থ অপচয় করব কেন? কিন্তু বিতর্ক তো থেকেই যাচ্ছে। পেশাদার লিগ বা বিভিন্ন টুর্নামেন্টে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে জেতা ম্যাচেও কোনো কোনো ক্লাব পয়েন্ট হারাচ্ছে। এগুলো ভুল না ইচ্ছাকৃত তা রহস্যময়। অভিযোগ আছে বিশেষ একটি ক্লাব প্রভাব খাটিয়ে পছন্দের রেফারি ঠিক করে। বাফুফে তা জেনেও নীরব ভূমিকা পালন করছে।
পছন্দের রেফারি নিয়ে মাঠে নামায় ম্যাচে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে ক্লাবটি। এবারও ফেডারেশন কাপে একই কান্ড ঘটছে। ফ্রি কিক নয় অথচ বাঁশি বাজছে। কর্নার নয়, তবু কর্নার। বিশেষ দলটি একাধিক ফাউল করে রক্ষা পেলেও প্রতিপক্ষদের সামান্য বাধায় শুধু ফাউল নয়, হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। এ নিয়ে অতীতে অনেক ক্লাবই লিখিত অভিযোগের পাশাপাশি পক্ষপাতিত্বের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়েছে। বাফুফে তা গুরুত্বই দিচ্ছে না।
ডাগ আউটে দাঁড়ানো নিয়েও অভিযোগ কম নয়। নিয়ম অনুযায়ী ফেডারেশনের কোনো নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাচের সময় মাঠে নামতে পারবে না। সবাই তা মানলেও ব্যতিক্রম শুধু বিশেষ ক্লাবটিই। কয়েক বছর ধরেই এ ক্লাবের এক কর্মকর্তা বাফুফের নির্বাচিত সদস্য। তবুও তাকে বিশেষ দলের ডাগ আউটে দেখা যাচ্ছে। রেফারির বাঁশি তাদের বিরুদ্ধে গেলেই হলো উত্তেজিত হয়ে তিনি চিৎকার করছেন। অন্য ক্লাবগুলো মনে করে বাফুফের কোনো কর্মকর্তা মাঠে থাকলে রেফারির পক্ষে নিরাপত্তা বাঁশি বাজানো সম্ভব হয় না।শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র, বসুন্ধরা কিংস, মুক্তিযোদ্ধা এ নিয়ে বাফুফের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছে। সাইফ স্পোর্টিং, মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীরও অভিযোগ জানানোর কথা ভাবছে।