সোমবার, ৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড - টেস্ট ড্র

ওপেনার কনওয়ের বিশ্বরেকর্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওপেনার কনওয়ের বিশ্বরেকর্ড

ম্যাচসেরা ডেভন কনওয়ে

শেষ দিনে জমে উঠেছে লর্ডস টেস্ট। ম্যাচের ফল যেমনই  হোক, টেস্টের সব আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁ হাতি ওপেনার ডেভন কনওয়ে। ওপেনার হিসেবে অভিষেক টেস্টের অভিষেক ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ের সোনালি পাতাকে সমৃদ্ধ করেছেন। গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ২৩ রান করে গড়েছেন নতুন এক বিশ্বরেকর্ড।

অভিষেক টেস্টে ওপেনার হিসেবে সর্বাধিক রান করে পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক ও ওপেনার কেপলার ওয়েসেলসকে। অভিষেক টেস্টের ওপেনিংয়ে এতোদিন সর্বাধিক রান ছিল প্রোটিয়া অধিনায়কের। এখন সেটা কনওয়ের। প্রথম ইনিংসে ২০০ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২৩ রান। এই রান করেই তিনি সবার উপরে। অভিষেক টেস্টে তার মোট রান ২২৩। এতদিন ২০৮ রান করে সবার উপরে ছিল ওয়েলসলসে। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই রানগুলো করেছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৪৬ রান। অভিষেক টেস্টে সর্বাধিক রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রো’র। তার মোট ৩৭২।

১৯৭২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ১৪৪ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত রো-ই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি অভিষেক টেস্টের এক ইনিংসে ডাবল এবং আরেক ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন। কনওয়ে অভিষেক ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে পেছনে ফেলেন স্বদেশী ম্যাথ সিনক্লেয়ারকে। ১৯৯৯ সালে সিনক্লেয়ার অভিষেক টেস্টে ২১৪ রান করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তবে অভিষেক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান  টিপ ফস্টার। ১৯০৩ সালে ইংলিশ ব্যাটসম্যান ফস্টার ২৮৭ রান করেছিলেন। রো-র মতো অভিষেক টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানের ইয়াসির হামিদ। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন ১৭০ ও ১০৫ (২৭৫ রান)।

লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের ৩৭৫ রানের জবাবে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমে যায় ২৭৫ রানে। ১০৩ রানে এগিয়ে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। শেষ দিনে ২৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩ উইকেটে ১৭০ রান করে ইংল্যান্ড। ম্যাচ ড্রতে শেষ হয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন ডেভন কনওয়ে। ১০ জুন থেকে সিরিজের পরের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এজবাস্টনে।

সর্বশেষ খবর