সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
এখন টি-২০তে সাকিবই সম্রাট

স্মরণীয় হলো না সাকিবের দিন

স্মরণীয় হলো না সাকিবের দিন

ল্যাসিথ মালিঙ্গাকে টপকিয়ে ১০৮ উইকেট পেয়ে সাকিব আল হাসান টি-২০ ক্রিকেটে এখন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। এমন দিনেও বাংলাদেশ হেরে গেল।

মাঠে খেলছে স্বাগতিক ওমান। কিন্তু মাস্কাটের ‘আল-আমিরাত’ স্টেডিয়ামের গ্যালারি ফাঁকা! এতেই পরিষ্কার, মরুরাজ্য ওমানে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা। তবে গোধূূলী আলোয় পাল্টে যায় স্টেডিয়ামের চেহারা। নি®প্রাণ গ্যালারিতে শুরু হয় লাল-সবুজের উন্মাদনা। প্রিয় বাংলাদেশের ম্যাচ বলে কথা! কাজ-কর্ম ফেলে হাজার দুয়েক বাঙালি মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাণোচ্ছ¡ সে মেতে উঠতে। যে উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন প্রবাসী বাঙালিরা, ম্যাচ শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন হারের বেদনায় নীল হয়ে। আইসিসি সহযোগী দেশ স্কটল্যান্ডের কাছে ৭ রানে হেরে টি-২০ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। অথচ দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারত টাইগারদের। স্মরণীয় হতে পারত সাকিব আল হাসানের। কিন্তু হয়নি দলের হারে। যদিও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ৪ ওভারের স্পেলে ২ উইকেট নিয়ে সাকিব এখন টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। পেছনে ফেলেছেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তির ফাস্ট বোলার ল্যাসিথ মালিঙ্গাকে। সাকিবের উইকেট ৮৯ ম্যাচে ১০৮ এবং মালিঙ্গার উইকেট ৮৪ ম্যাচে ১০৭টি। স্বাগতিক ওমান ১০ উইকেটে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেছেন টি-২০ বিশ্বকাপে। 

এই মাঠে ওমান একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল টাইগাররা। ব্যাটিং সহায়ক বলেই টস জিতে প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। উইকেটে হালকা ঘাস থাকায় তিন পেসার মুস্তাফিজ, সাইফুদ্দিন ও তাসকিনকে নিয়ে একাদশ সাজায়। ওপেনে লিটনের সঙ্গী হন নাঈমের বদলে সৌম্য সরকার। এছাড়া ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে সুযোগ দেওয়া হয় অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানকে। পেসাররা দারুণ সূচনা এনে দিলেও গতকাল বাজিমাত করেন স্পিনাররা। মেহেদী তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন ৪ ওভারের স্পেলে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। সূচনা ভালো করলেও পেসাররা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেননি। যদিও প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। কিন্তু শেষটা ভালো হয়নি। ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার ৪ ওভারে  রান দেন ৩০। তাসকিন শুরুতে দুর্দান্ত গতিতে নাজেহাল করলেও ৩ ওভারে রান দেন ২৮। মুস্তাফিজ প্রথম ওভারটি নেন মেডেন। শেষ তিন ওভারে ৩২ রান দেন। সব মিলিয়ে কাটার মাস্টারের স্পেল ছিল ৪-১-৩২-১।

ফিল্ডিংয়ে নেমে নতুন বলে বোলিং করেন তাসকিন। দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নেন মুস্তাফিজ। তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক তাসকিনকে সরিয়ে বল তুলে দেন সাইফুদ্দিনকে। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণিত করেন সাইফুদ্দিন ওভারের চতুর্থ বলে স্কটিশ অধিনায়ক কোয়েটজারকে দুর্দান্ত একটি আউট সুইং ইয়র্কারে বোল্ড করে। শুরুর ধাক্কা ধরে রাখায় টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৩৯ রান নেয় স্কটল্যান্ড। এরপর সাকিব ও মেহেদী ঘূর্ণির সাঁড়াশি আক্রমণে ধ্বস নামান। ৪৫ থেকে ৫৩; মাত্র ৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পরে স্কটল্যান্ড। তখন মনে হচ্ছিল স্কোর শয়ের ঘরও পেরোবে না। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ম্যাচ সেরা ক্রিস গ্রিভস ও মার্ক ওয়াট ৫১ রানের জুটি গড়ে স্কোর লাইনটা বাড়িয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ১৪০ রান করে স্কটল্যান্ড। গ্রিভস ৪৫ রান করেন ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায়।

সর্বশেষ খবর