মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিরোপা আর্জেন্টিনার লাভ বাংলাদেশের

গ্যালারি বা টিভিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের বেশ কটি ফাইনাল দেখেছি। আমার দেখা সেরা ফাইনালটি দেখলাম। রবিবার আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল টিভিতে দেখেছি। তবে চারিদিকে যে উত্তাপ ও চিৎকার তাতে মনে হলো কাতারে বসেই যেন মেসি-এমবাপ্পেদের লড়াই দেখছি। অসাধারণ এক ফাইনাল দেখলাম। ১৯৩০ সালে শুরু হওয়ার পর আমি বলব এটিই বিশ্বকাপের সেরা ফাইনাল। নির্ধারিত সময়ে ২-২ এমনকি অতিরিক্ত সময়েও ১-১ গোলে ড্র। সত্যিই এক অবিশ্বাস্য ফাইনাল। আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি আমি ব্রাজিলের অন্ধ সমর্থক। তবু চেয়েছিলাম লিওনেল মেসির হাতে স্বপ্নের ট্রফি উঠুক। যে ফুটবলার ক্যারিয়ারে সব কিছু অর্জন করেছে তিনি যদি বিশ্বকাপই জিততে না পারেন তাহলে সবইতো বৃথা।

বাংলাদেশ প্রতিদিন-এ আমিই লিখেছিলাম এবার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতবে। সৌদি আরবের কাছে উদ্বোধনী ম্যাচে হারের পর অনেকে শঙ্কায় ছিলেন আর্জেন্টিনা নকআউট পর্বে যাবে কিনা। আমি কিন্তু টকশোতে বার বার বলেছি যে দলে মেসি আছে সে দল নকআউট পর্বে যাবেই। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। আর এর পুরো কৃতিত্ব মেসিরই। ও নিজে খেলেছেন, খেলিয়েছেন এবং দলকে জিতেয়েছেন। একজন গ্রেট ফুটবলারের সব গুণাবলী মেসির মধ্যে দেখেছি। আমি আনন্দিত যে বিশ্বকাপে মেসির বিদায় হয়েছে শিরোপা দিয়েই। টাইব্রেকারে জিতলেও শিরোপা শিরোপাই। ফাইনালে মেসি যেমন মুগ্ধ করেছেন। তেমনি এমবাপ্পেও বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি অন্যতম সেরা। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে স্বাভাবিকভাবে আর্জেন্টিনা আনন্দে ভাসছে। বাংলাদেশেও উল্লাসের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে।

যদি বলি, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতলেও লাভ হয়েছে বাংলাদেশের তাহলে কি ভুল হবে। দেখেন এবার যে ক’জন তারকা বিশ্বকাপ খেলেছেন। তাদের মধ্যে মেসিই বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়। তার হাতে যদি বিশ্বকাপের ট্রফি না উঠতো তাহলে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা হতাশায় ভেঙে পড়ত। এতে ক্ষতি হতো বাংলাদেশের ফুটবল। দেখেন দেশের ফুটবল এতটা বিপর্যয়ের মুখে শহর, মফস্বল ও গ্রামে ছেলেরা সেভাবে ফুটবল নিয়ে মাতে না। এখন মেসির হাতে বিশ্বকাপ দেখায় তরুণদের মধ্যে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। ফুটবল খেলা নিয়ে তরুণদের ধুম পড়ে যাবে। মেসির শিরোপায় বাংলাদেশ কি উপকৃত হলো না?

সর্বশেষ খবর