বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সিলেটের রোমাঞ্চকর জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সিলেটের রোমাঞ্চকর জয়

ছবি : রোহেত রাজীব

ফরচুন বরিশালের জয়রথ থামিয়ে দিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম ম্যাচে যে সিলেটের বিরুদ্ধে হার দিয়ে বরিশালের মিশন শুরু হয়েছিল, টানা পঞ্চম জয়ের পর সেই দলটির বিরুদ্ধে আবারও হেরে গেল সাকিব আল হাসানের বরিশাল।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের ১৭৩ রানের পর ফরচুন বরিশালের ১৭১। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দল মাত্র ২ রানে হেরে যায় মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের বিরুদ্ধে। এই জয়ে শীর্ষ স্থানে সিলেটের অবস্থান আরও মজবুত হলো। সাত ম্যাচে ছয় জয়, ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে। আর এক ম্যাচ জিতলেই সবার আগে প্লেঅফ নিশ্চিত হয়ে যাবে মাশরাফির দলের।

গতকাল লড়াই জমে উঠেছিল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের দরকার ছিল ১৫ রান। উইকেটে ছিলেন ভয়ংকর ব্যাটসম্যান ইফতিখার। চট্টগ্রামে যিনি রীতিমতো তান্ডবে ব্যাটিং করেছিলেন। দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সিলেটের ক্যাপ্টেন মাশরাফি বল তুলে দেন পেসার রেজাউর রহমান রাজার হাতে। ওভারের প্রথম বলটি ওয়াইড। পরের বলেই ভয়ংকর ইফতিখারকে আউট করেন। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন সিলেটের উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে যেন ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় বরিশাল। তৃতীয় বলে এক রান। চতুর্থ বল ডট। কিন্তু পঞ্চম বলে বিশাল এক ছক্কা হাঁকান মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। ছক্কা হাঁকালে ম্যাচ টাই। কিন্তু ছক্কা হাঁকাতে পারলেন না ওয়াসিম। রাজার শেষ বল চার রান নিলেন। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২ রানে জিতে যায় মাশরাফির বরিশাল।

গতকাল ৪ ওভারে ৪১ রান দিলেও দিনের বরিশালের সেরা তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। গতকাল একটা সময় মনে হচ্ছিল সহজেই জিতে যাবে বরিশাল। কিন্তু ফর্মের তুঙ্গে থাকা সাকিব আল হাসান এবং আফগান তারকা ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করে সিলেটকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন পেসার রেজাউর রহমান রাজা। শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের দরকার ছিল ৬৩ রান। কিন্তু ইনিংসের ১৬তম ওভারে সিলেট ক্যাপ্টেন মাশরাফি ২১ রান দেওয়ার ম্যাচের গতি পাল্টে যায়। ম্যাচের ওভারের শেষ তিন বলে আফগান তারকা জানাত টানা তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন। পরের ওভারেই দুর্দান্ত বোলিং করেন সিলেটের পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। মাত্র এক রান দিয়ে তুলে নেন জানাতের উইকেট। ১৯তম ওভারেও তিনি মাহমুদুল্লাহকে ফিরিয়ে দেন। ম্যাচের জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন আমির। উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ক্যারিশমা দেখিয়েছেন স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। তারপরও সিলেটের কোনো বোলার ম্যাচসেরা হতে পারেননি। ৬৬ বলে ৮৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে সেরা হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। গতকাল বড় ইনিংস খেলতে না পারলে বরিশালের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান ২৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন। ছয় ইনিংসে ব্যাট করে ৩০৪ রান করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

সর্বশেষ খবর