বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বোলিং-ব্যাটিংয়ে দাপট রংপুরের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বোলিং-ব্যাটিংয়ে দাপট রংপুরের

ছবি : রোহেত রাজীব

প্লে-অফে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচটি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য ছিল কেবলমাত্র নিয়মরক্ষার। তবে রংপুর রাইডার্সের ছিল মহাগুরুত্বপূর্ণ। সরাসরি কোয়ালিফায়ারে খেলার হাতছানি। তাই গতকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বেশ উজ্জীবিত দেখা যায় রাইডার্সের ক্রিকেটারদের।

গতকাল যেন ‘অপয়া-১৩’র ফাঁড়ে পড়েছিল চট্টগ্রাম। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর যেন নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। অন্যদিকে, রংপুরের জন্য ‘লাকি-সেভেন’! কারণ, ম্যাচের ৭ ওভারেই যেন চট্টগ্রামকে ম্যাচ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় রাইডার্স। সাত ওভারের মধ্যে সেরা চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় চট্টগ্রাম।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট শিকার করেছেন রংপুরের স্পিনার রকিবুল হাসান। চট্টগ্রামের ওপেনার ম্যাক্সওয়েল ও’ডাউটকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন। ঠিক পরের ওভারেই ওসমান খানকে বোকা বানিয়ে ছাড়েন রাইডার্সের আফগান পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাই। পঞ্চম ওভারে বন্দরনগরীর দলটির তারকা ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফকে আউট করেন হারিস রউফ। থার্ডম্যানে বেশ খানিকটা দৌঁড়ে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ফিল্ডার হাসান মাহমুদ যে ক্যাচ নিয়েছেন তা ছিল দেখার মতো। সপ্তম ওভারে চট্টগ্রামের ভরসা আফিফ হোসেনকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান রংপুরের পাকিস্তানি তারকা পেসার হারিস রউফ। বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারে উইকেট তুলে নেন হাসান মাহমুদ। কার্টিস ক্যাম্ফারকে ৩ রানেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরিয়ে দেন। ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। এরপর ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমান ও তৌফিক খান মিলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১৩২ রান সংগ্রহ করে তারা।

পরে ব্যাটিং দৃঢ়তায় রংপুর রাইডার্স হাতে ৪ ওভার রেখে ৭ উইকেটে জিতে যায়। গুরবাজ ৩০ বলে ৪৬,  রনি তালুকদার ২৮ ও নাঈম ২০ রান সংগ্রহ করেন। সামনে কুমিল্লার বিপক্ষে ম্যাচ রংপুরের। কোয়ালিফায়ারে কারা খেলবে এ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে।

সর্বশেষ খবর