শিরোনাম
রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিপিএলে উজ্জ্বল টাইগাররা

আসিফ ইকবাল

বিপিএলে উজ্জ্বল টাইগাররা

ফাইনালে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। শূন্য রানে ফিরেছেন সাজঘরে। চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। শিরোপা উৎসবও করতে পারেননি তৌহিদ। শিরোপা উৎসবে মেতে উঠতে না পারলেও ক্যারিয়ারে সেরা পালক যুক্ত হয়েছে যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার তৌহিদের। প্রথমবার সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে। অবশ্য জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার মতো পারফরম্যান্স করেছেন। ১৩ ম্যাচে রান করেছেন ৪০৩। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটির জন্য ১৪ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। তাতে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন তৌহিদ। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এখন কথা হচ্ছে, দলটি কেমন হয়েছে? জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ১৪ ক্রিকেটারের মধ্যে সবচেয়ে কম খেলেছেন বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বাকি ১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে ব্যাটাররা দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন। অবশ্য খুব পিছিয়ে ছিলেন না বোলারাও। বিপিএল খেলা ব্যাটারদের মধ্যে আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ রানের মাইলফলক গড়েছেন শান্ত। বোলিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন হাসান মাহমুদ। শান্ত ১৫ ম্যাচে রান করেছেন ৫১৬। হাসান ১৪ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি।

১, ৩ ও ৬ মার্চ তিন ওয়ানডে। প্রথম দুটি মিরপুরে এবং শেষটি চট্টগ্রামে। টিম ম্যানেজমেন্ট প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে আরও একজনকে দলভুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন। স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যাটিংয়ে প্রায় সব ব্যাটারই রান করেছেন। ওপেনিংয়ে বরাবরই সমস্যা। এবার আশা করতে পারেন টিম ম্যানেজমেন্ট। ছন্দে রয়েছেন উপরের সারির ব্যাটাররা। লিটন দাস দুর্দান্ত খেলেছেন। ১৩ ম্যাচে ৩ হাফসেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৩৭৯। গ্রোইন ইনজুরির জন্য ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে খেলেননি তামিম। বিপিএলে ১০ ম্যাচে রান করেছেন ৩০২। এছাড়া সাকিব ১৩ ম্যাচে রান করেছেন ৩৭৫। সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ১৫ ম্যাচে রান করেছেন ৩৫৭। ফাইনালে খেলেছিলেন ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। মিডল অর্ডারে খেলবেন সাকিব, মুশফিক, আফিফ হোসেন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ রয়েছেন দারুণ ফর্মে। ভারতে বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন স্পিন অলরাউন্ডার। বিপিএলে তিনি ১০ ম্যাচে রান করেছেন ২০৮। হাফসেঞ্চুরির ইনিংস ছিল একটি। দলের সবচেয়ে বয়স্ক ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ। দেশকে বহু ম্যাচ জেতানো মাহমুদুল্লাহ ১৩ ম্যাচে রান করেছেন ২০৮টি। আফিফ ১২ ম্যাচে এক হাফসেঞ্চুরিতে রান করেছেন ৩৪৪। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নামার আগে টাইগার ব্যাটাররা সবাই রয়েছেন ছন্দে।

বোলিংয়ে পেসাররা রয়েছেন ছন্দে। বিশেষ করে নতুন বলের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ বোলিং করেছেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তাসকিনের দল ঢাকা ডমিনেটর্স সুপার ফোরে খেলতে পারেনি বলে বিপিএলে সবগুলো ম্যাচ খেলেননি। ৯ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন। সেরা বোলিং ৯ রানে ৪ উইকেট। হাসান খেলেছেন রংপুর রাইডার্সে। তার দলও ফাইনাল খেলতে পারেনি। প্লে-অফে বাদ পড়েছে। ১৪ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি এবং সেরা বোলিং ১২ রানে ৩ উইকেট। দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব নেতৃত্ব দিয়েছেন ফরচুন বরিশালকে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও ছিলেন উজ্জ্বল। ১০ উইকটে নিয়েছেন ১৩ ম্যাচে। সেরা বোলিং ১৮ রানে ২ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হয়ে। ১০ ম্যাচে পেয়েছেন ১০ উইকেট। সেরা বোলিং ১৮ রানে ৩ উইকেট।

বিপিএলের আগে লিটনের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজে জিতেছে ভারতের বিপক্ষে। এবার স্বপ্ন দেখছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জশ বাটলারের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের। সিরিজে নামছে তামিম বাহিনী ছন্দে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে।

সর্বশেষ খবর